মন যা চায়
আজ আমার বয়স একটু বাড়লো
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিগুলো জমা পড়ে রইলো।
মাথার চুল ঝড়ে ঝড়ে পড়লো
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসলো
মানসিক চাপ বাড়লো
চোখের কোণে কালো দাগ আঁচড়ে পরলো।
মন চায় ছোট বেলায় ফিরে যেতে।
চায় অপূর্ণ সব চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ করতে।
বান্ধবীদের নিয়ে গল্পের আড্ডায় মেতে উঠতে।
ভাই বোনদের নিয়ে রোজার সময় একসাথে ইফতার করতে।
বাচ্চাদের একটা পরিপূর্ণ জীবন দিতে
মন চায় নদীর ধারে একা বসে থাকতে
শিউলি, বকুল, বেলি, কাঠগোলাপের গন্ধ শুঁকতে।
চায় জোছনা রাতে আকাশ পানে চেয়ে থাকতে
খিদে পেলে অল্প কিছু খেলেই যেন ভালো লাগে।
ইচ্ছে ঘুড়ি
ইচ্ছে গুলি ইচ্ছেতেই থাকে
ইচ্ছের নয়কো বাসা।
ইচ্ছের মাঝে লুকিয়ে আছে অচিন প্রেমের আসা।
শত শত তারার মাঝে হয়তো তাদের দেখা
অবুঝ বুকের মন যে আমার করে ঢেউয়ের উত্তোলন
প্রত্যাশিত এই মনে আমার
নানান প্রশ্নের সমোরণ ।
ইচ্ছে গুলো উড়ে বেড়ায় অচিন পাখির দেশে
ইচ্ছেরা সব ভেসে বেড়ায় নদীর বানে যে।
বাস্তবতার মুখোমুখি আমরা কয়জন পারি ঠেকাতে
পূব আকাশে সূর্য উঠে, পশ্চিমে যায় মিলিয়ে
তেমনি ভাবে ইচ্ছে গুলো হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে।
নানান কাজে ব্যস্ত জীবন উতলা হয় এ মন
নতুন সকাল উদিত হবে এই স্বপ্নে বিভোর
স্বপ্নের মাঝে লুকিয়ে আছে হাজার স্বপ্নলোক
আমার মনের মাঝিরে মন কে বোঝায় কে
মন যে শুধু বসে থাকে, নতুন দিগন্তের আসায় রে।
ইচ্ছে রা সব ঘুরে বেড়ায় হাজার তারার মেলায়।
হাওয়ার টানে নেচে উঠে কল্পনার সেই ডানায়
যেখানে তুমি আমি-আর নেই কোনো মানা।
যা বলা হয় নি
যদি না বলা কিছু কথা রয়ে যায়
যদি স্মৃতি গুলো মুছে দেওয়া যায়
যদি ইচ্ছে গুলো অপূর্ণ থেকে যায়
যদি মিছে ভালোবাসায় দিনগুলো কেটে যায়
তবে কেমন হতো!
কেমন হতো চোখের ভাষা না বোঝা শব্দ,
কেমন হতো মনের কথা প্রকাশ না করার পর ও
যদি বুঝে যেত।
বাক্যগুলো তখন বাক্য থাকে না-তা আর্তনাদে
প্রকাশ পায়।
হাজারো বাক্যের মাঝে মিশে থাকে চিৎকার।
হাজারো প্রশ্নের সমারহ ঘটে।
হাজারো মিথ্যের লুকোচুরি খেলে।
যদি এমনটি হবে তবে কেন প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হওয়া,
নিছক এ ভালোবাসা।
ভালোবাসার নামে চলে নতুন এক গল্পের সংকল্প।
আমি এই ভালোবাসায় বিশ্বাসী না।
আমি প্রতীক্ষা করতে শিখে গেছি।
শিখে গেছি রক্তে মাংসে গড়া কীভাবে পাথরে পরিণত হয়।
শিখে গেছি রাতের ঘুম হারাম করার কষ্ট।
শিখে গেছি বেলা শেষে অপেক্ষা না করার খেলা।
বুঝে গেছি আমার আমি কে এখন যত্ন নেওয়ার পালা ।