"মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কদম চত্বর (ময়লার মোড়) এলাকায় এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল ও এম আর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পশ্চিম ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান, দৈনিক বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার ও কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের উপদেষ্টা মো. সোহেল রানা, কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী মেহেদী হাসান ও এম আর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা কেবল সরকারের একক দায়িত্ব নয়, বরং এটি চালক, যাত্রী ও পথচারী—সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস করতে পারে।
এ দিবসকে সামনে রেখে কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল-এর পক্ষ থেকে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন। লক্ষ্যে গুলো হচ্ছে;
১. সড়ক জ্যাম ও জটমুক্ত রাখা: শহর ও গ্রামীণ উভয় সড়কেই শৃঙ্খলাবদ্ধ চলাচল নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া।
২. চালকের ফিটনেস পরীক্ষা: প্রশিক্ষিত, স্বাস্থ্যবান ও মানসিকভাবে প্রস্তুত চালকরাই যেন যানবাহন পরিচালনা করেন, তা নিশ্চিত করা।
৩. যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি: যাত্রীদের মাঝেও ট্রাফিক আইন ও নিয়ম মানার অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা।
৪. ঘুম চোখে গাড়ি না চালানো: ক্লান্ত বা ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানোর মারাত্মক ঝুঁকি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করা।
৫. সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষা বিস্তার: স্কুল, কলেজ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ট্রাফিক সচেতনতা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানানো।
বক্তব্যের শেষে, আয়োজকরা সবাই মিলে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, যেখানে সড়ক হবে নিরাপদ, যাত্রা হবে নিশ্চিন্ত এবং প্রতিটি চালক হবেন দায়িত্বশীল নাগরিক।
অনুষ্ঠানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্লোগানকে সামনে আনা হয়:"নিয়ম মেনে চলি, নিরাপদে বাড়ি ফিরি" সচেতন চালক, নিরাপদ সড়ক"
এই আয়োজনের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বার্তা সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।