মালদ্বীপে জনস্বাস্থ্য নীতির পুনঃকল্পনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলাম প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি আরও সহজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া প্রয়োজন। “সংক্রামক রোগ থেকে অসংক্রামক রোগে, মালদ্বীপের জনস্বাস্থ্য ভাবনার নতুন দিগন্ত” শীর্ষক এই দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনাটি স্থানীয় সময় বুধবার মালদ্বীপের জাতিসংঘে সদস্যপদ অর্জনের ৬০ বছর এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মালদ্বীপ এবং ভিলা কলেজ। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশটির নীতিনির্ধারক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন সহযোগী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় সংক্রামক রোগ থেকে অসংক্রামক রোগে (এনসিডি) রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য নীতির নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
হাইকমিশনার ড. নাজমুল ইসলাম আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, মালদ্বীপের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তাই তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি অভিবাসী স্বাস্থ্য শাসনব্যবস্থা এবং অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) মোকাবিলায় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
ড. নাজমুল মালদ্বীপ সরকার এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেন অন্তর্ভুক্তিমূলক জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের জন্য। যা স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীদেরও স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ভূমিকা রাখছে।
তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালদ্বীপ ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে সমতাভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।