ই-পেপার বাংলা কনভার্টার বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪ কার্তিক ১৪৩২
ই-পেপার বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




জনগণ যদি বলে, পালাবে কোথায়? তখন কী হবে?
মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল
প্রকাশ: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:২০ পিএম  (ভিজিটর : ৪১২)
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শীতকাল অনুভূত হয় সবচেয়ে তীব্রভাবে। আর শীতকালের আগমনী বার্তা দেয় হেমন্তকাল। ইতোমধ্যে দুই হাজার পঁচিশ খ্রিষ্টাব্দের হেমন্তকাল এসে গেছে। শীতের বার্তাও অনুভূত হচ্ছে। তবে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বাড়তি হিসেবে এবার দেশের রাজনীতিতেও পরিবর্তনের পদধ্বনি কর্নগোচর হচ্ছে। 

২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা। কেউ বলছেন হবে, কেউ বলছেন হবে না। সন্দেহের দোলাচলে রাজনীতির সবকিছুই দোদুল্যমান। সরকারপ্রধান জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন। ইতোপুর্বে তাঁর কিছু ভাসমান সমর্থক গোষ্ঠী ছিল। ফ্রান্স থেকে উড়ে এসে ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশের জন্য তিনি কিছুই করতে পারেননি। বরঞ্চ যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, তাও ধ্বংস করেছেন। উপরন্তু লজ্জাজনকভাবে ব্যক্তিগত লোভ-লালসার স্বাক্ষর রেখেছেন। ফলে কেউ আর তাঁকে বিশ্বাস করে না। এ কারনেই নির্বাচন নিয়ে জনগণ দোলাচলে রয়েছে।

দেশের সংবিধানে লিখা রয়েছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। তবে অভাগা জনগণ মোটা দাগে এই ক্ষমতা চর্চা করতে পেরেছে মাত্র তিনবার। এবং তিনবারের মধ্যে দুইবার তারা বঞ্চিত হয়েছে আর একবার প্রতারিত হয়েছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষ। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। এক কোটি মানুষ জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। এই যুদ্ধের মালিক ছিল জনগণ। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ক্ষমতায় গেল এককভাবে আওয়ামী লীগ। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল দল, সকল পেশার মানুষকে নিয়ে সরকার গঠন করা যায়নি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে।

এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের পর তিরাশি সাল থেকে আন্দোলন করেছে বিভিন্ন ছাত্র এবং রাজনৈতিক দল। সাফল্য পায়নি। যখন নব্বই সালে জনগণ রাস্তায় নামলো, ওমনি এরশাদের পতন ঘটলো। ওই আন্দোলনের মালিক ছিল জনগণ। কিন্তু নির্বাচনের নামে সকলকে বাদ দিয়ে শুধু একটি দল অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হলো। জনগণের সকল অংশকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের সুযোগ আবার হাতছাড়া হলো। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হলো।

তারপর যে দলই যখন ক্ষমতাসীন হয়েছে, অন্য দলগুলি তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। কিন্তু পুর্বের অভিজ্ঞতায় জনগণ সেসব আন্দোলনে অংশ নেয়নি। সর্বশেষ দুই হাজার চব্বিশে  যখন অদলীয় ছাত্রদের নেতৃত্বে কেবলমাত্র কোটা বহালের হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্রদের হত্যার প্রতিবাদে জনগণ রাস্তায় নেমে এলো, তখন সরকারের পতন ঘটলো। এই আন্দোলনের মালিক ছিল জনগণ। কিন্তু সরকার পতনের পর দেখা গেল, আন্দোলনের অন্তরালে ছিল গভীর চক্রান্ত। সামনের কাতারে নেতৃত্বের ভূমিকায় যারা ছিল, আসলে তারা সাধারণ ছাত্র ছিল না। এরা ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়োগকৃত  ছদ্মবেশী কর্মি। আর মাঠ পর্যায়ে পরিচয় গোপন করে জামাত, শিবিরের কর্মিরা জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল । এদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল দেশি-বিদেশি একাধিক শক্তি। এর প্রমান পাওয়া যায় যখন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশের মাটিতে ঘোষনা করলেন যে, মিটিকিউলাস ডিজাইন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে। জনাব ইউনুসের এই উক্তিতে বাংলাদেশের আন্দোলনকারী জনগণ প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়েছে। এর আগে শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেছেন, আমাদের নিয়োগকর্তা ছাত্ররা। মানুষ স্তম্ভিত হয়েছিল এই ঘোষনায়। বস্তুত প্রধান উপদেষ্টার এই দুই ঘোষনাতেই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মানুষের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। আন্দোলন করলো সাধারণ মানুষ, জীবন দিল সাধারণ মানুষ, আর মানুষের সাথে সম্পর্কহীন ইউনুস তাঁর অনুগত কিছু সাগরেদকে উপদেষ্টা বানিয়ে ক্ষমতায় বসলেন। তিনজন ছাত্রকেও উপদেষ্টা বানালেন তিনি। ছাত্ররা কি উপদেষ্টা বা মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। পড়াশোনা শেষ করে, রাজনীতি করে জনগণের নেতা হয়ে অথবা টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রী হওয়া যায়। কিন্তু ছাত্র অবস্থাতেই তাঁরা মন্ত্রী হয়েছেন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সেজন্য? একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের বড় অংশই তো ছিলেন ছাত্র। নব্বইয়ের গনঅভ্যুত্থানও তো সংঘঠিত হয়েছিল ছাত্রদের নেতৃত্বে। তখন তো কোন ছাত্রনেতা ক্ষমতার ভাগ নিতে আসেনি। কিন্তু এবার দেখা গেল বানরের পিঠা ভাগ। একাত্তর আর নব্বইয়ে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে আর চব্বিশে হয়েছে প্রতারিত।

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা অপরাধ। কিন্তু কোন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা বা সরকারের পদত্যাগ দাবী করা অপরাধ নয়, গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সেই দাবী জনসমক্ষে প্রকাশ করে, দাবীর সাথে জনগনকে সংপৃক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। তা না করে ঘরে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা শুধু অন্যায় নয়, ফৌজদারি অপরাধ। 
শেখ হাসিনা তিনটি মেয়াদে বিনা ভোটের নির্বাচন করে কঠোর অগনতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছিলেন। অন্য দলকে তো দূরের কথা, নিজের দল আওয়ামী লিগেরও তোয়াক্কা করতেন না তিনি। জাতীয় সংসদও অকার্যকর ছিল। শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভা ছিল মূলতঃ তাঁর ব্যাক্তিগত মন্ত্রীসভা। অবাধে দূর্নীতি হতো তখন। এসব কারনেই সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু বর্তমানে ইউনুস সাহেবের শাসনামলে কী হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, দূর্নীতির মহোৎসব চলছে এখন। দেশে আইন-শৃঙ্খলার বালাই নেই। বিচার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। একদল উগ্রবাদী বাঙ্গালী জাতির অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির উপর হামলে পড়ছে, একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে চলেছে। হাসিনা আমলের অপকর্মের বিচার হবে অবশ্যই। পাশাপাশি বর্তমানের অপকর্মের বিচারও হতে হবে। অতীতের মতো জনগণ আবারও ভেতরে ভেতরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবং জনগণের মনোভাব ইতোমধ্যে ক্ষমতাসিনরা বুঝতে পেরে গেছে বলে মনে হয়। সেজন্যই ইউনুস সাহেবের শিস্যদের মুখে সেইফ এক্সিটের কথা শোনা যাচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় এন্ট্রেন্স এবং এক্সিট হলো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে এক দল চলে যাবে, আরেক দল এসে ক্ষমতা গ্রহন করবে – এটাই সাধারণ নিয়ম। তাহলে সেইফ এক্সিটের বিষয় আসবে কেন? আসলে এখানে সেইফ এক্সিট মানেই হলো, তারা অপকর্মে জড়িত। এক্সিট মানে প্রস্থান। আর সেইফ এক্সিট মানে হলো নিরাপদ প্রস্থান। সহজ বাংলায় পালানো। সোজা কথায় বলতে গেলে, তারা ক্ষমতায় বসেছে, দূর্নীতি করেছে এবং এখন পালাতে চাইছে। এটাই হলো সেইফ এক্সিট। কিন্তু জনগণ যদি বলে, ‘পালাবে কোথায়?’ তখন কী হবে?

বাংলাদেশে কখনো বহুদলীয় গনতন্ত্র ছিল না - এখনও নেই। এক সময় ছিল একদলীয় শাসন। ’৯১ সাল থেকে চলেছে দ্বি-দলীয় শাসন। বিগত তিন মেয়াদে চব্বিশ সাল পর্যন্ত চলেছে জগাখিচুড়ি শাসন। এখন চলছে বিরাজনীতিকরনের চেষ্টায় বানরের পিঠা ভাগের শাসন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার তথা পুর্ন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলো না। দিন বদলের কথা বলে হতাশাগ্রস্থ মানুষকে স্বপ্ন দেখানো হয়। কিন্তু জনগনের দিন বদল হয় না। কিছু মানুষের ভাগ্য বদল হয়। স্বপ্ন দেখিয়েই বাঙালীকে বারবার প্রতারনা করছে কতিপয় দল। এদের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে অকর্ম্মন্য, দূর্নীতিবাজ, নীতিহীন কিছু উপদেষ্টা আর হঠাৎ গজানো কিছু নেতা নামধারী ব্যক্তি। এদের প্রধান নীতি হলো ‘উলট-পালট করে দে মা, লুটে-পুটে খাই’। গনতন্ত্র মানে এদের কাছে অবাধ লুটপাট। রাজনৈতিক কৌশলের নামে  প্রতারনা করে তারা। প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনের সঙ্গে ভাঁওতাবাজী করা তাদের স্বাভাবিক কর্মকান্ড। রাজনীতি তাদের কাছে চোরাকারবারীর ব্যবসার মতো। রাজনীতির প্রাথমিক পাঠও এদের নেই বলে দল-সরকার-রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য এরা বোঝে  না। দল ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রি হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারিত হয় কেবলমাত্র ব্যক্তিগত লেনদেন এবং আনুগত্যের ভিত্তিতে। সে ক্ষেত্রে একজন রাজাকার, দূর্নীতিবাজ, খুনের আসামী, ভূমিদস্যুর সরকারের মন্ত্রি হতে কোন বাধা নেই। 

সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। জনমনে প্রশ্ন, নির্বাচন কি সুষ্ঠ হবে? একটি অবাধ, নিরেপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে হলে সে নির্বাচনে নিবন্ধিত সকল দলের অংশগ্রহন থাকতে হবে। একটি সঠিক নির্বাচন করার ব্যাপারে সরকারের নির্মোহ সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকতে হবে এবং তাদের কঠোর ও নিরেপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মাস্তানি, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। কিন্তু জনাব ইউনুসের সরকারের পক্ষে এসব কাজ করা সম্ভব বলে সাধারণ মানুষ মনে করে না। যদি তাই হয়, তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে তা হবে ইতিহাসের আরেকটি নিকৃষ্ট নির্বাচন। একটি ভাল নির্বাচন করতে হলে এখন প্রয়োজন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নিবন্ধিত সকল দলের অংশগ্রহনের নির্বাচন। এর কোন বিকল্প নেই এই মুহুর্তে। 

জাতির এই চরম হতাশার দিনে সত্যিকারের দিন বদল বা মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য প্রয়োজন নীতিবান, দেশপ্রেমিক, ডেডিকেটেড, নির্লোভ নেতৃত্ব। সমকালীন নেতৃত্বে এসব গুনের প্রচন্ড অভাব। দু’চার জন যারা আছেন, ভোটের মাঠে তারা টাকা আর পেশী শক্তির কাছে অসহায়। কিন্তু সত্যিকারের গনতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমেই সৎ নেতৃত্বকে আনতে হবে দেশ পরিচালনায়। শেখ হাসিনার পতনের পর সাধারণ মানুষ আশা করেছিল ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস গনতন্ত্রের লাইনচ্যুত ট্রেনকে সঠিক লাইনে উঠিয়ে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। সেটা না করে তিনি তাঁর মনের গহীনে থাকা ডিজাইন বাস্তবায়ন করার কাজে উঠে পড়ে লাগলেন। সীমা লংঘন করে যে বিশাল ক্যানভাস তিনি তৈরি করেছেন, তা গুটিয়ে আনা এখন অসম্ভব একটি বিষয়। সদলবলে যেসব কার্যকলাপ তাঁরা করে ফেলেছেন, তা থেকে সেইফ এক্সিট পাবেন বলে মনে হয় না। জনসমর্থন না থাকলে অথবা জনরোষে পড়লে সেইফ এক্সিট হয় না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সেইফ এক্সিটের জন্য সংবিধানে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইতিহাসের পুনারাবৃত্তি হবে কিনা জানি না। তবে সীমা লংঘনকারীরা চরম পরিনতি ভোগ করেছে – এমন ইতিহাস এদেশে অনেক রয়েছে। 

লেখকঃ সাংবাদিক, কলামিস্ট 







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : bhorerdakonline@gmail.com, adbhorerdak@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : bhorerdakonline@gmail.com, adbhorerdak@gmail.com