প্রকাশ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৪১ পিএম (ভিজিটর : ৩২৮)
সবুজ বন আর সাগরের নির্মল বাতাসে চিত্রা হরিণের ছুটে চলার সাথে অতিথি পাখির জলকেলি। এমন এক অপরূপ দৃশ্য চোখে পড়বে ভোলার চর কুকরি-মুকরিও তাড়ুয়ার দ্বীপে।
নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ছুটে আসেন প্রকৃতি প্রেমীরা। কিন্তু পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। বন বিভাগ একটি রেস্ট হাউজ থাকার সুযোগ বাড়লেও কমেনি যাতায়াত ভোগান্তি। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যা কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন তারা। তবে সহজ যাতায়াতসহ আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ ।
ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের কোল ঘেঁষে রয়েছে আটশ বছরের পুরনো দ্বীপ কুকরি-মুকরিও ঢালচর। দূর থেকে দেখ মনে হয়, সাগরের মাঝে এ যেন এক সবুজের টিপ।ঘন বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু খালের দুপাশে চিত্রাহরিণ ও বন মোরগসহ বেশকিছু বন্যপ্রাণী দৃষ্টি কাড়ে।
আর সবুজের বুক চিরে একটু এগিয়ে গেলেই প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তাড়ুয়া সৈকত তীর।দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের সঙ্গে এই সময়ে এখানে দেখা মিলবে অতিথি পাখির জলকেলি। তাই কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কিছুটা প্রশান্তির আশায় এখানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। পর্যটকরা বলেন, এখানে আসলে মনে হয় সবুজ দিয়েই দ্বীপটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থাটা ভালো হলে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কুকরি অনেক এগিয়ে থাকবে।
এ অবস্থায় সহজ যাতায়াত ব্যবস্থাসহ পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আরও হোটেল-মোটেল নির্মাণের দাবি উন্নয়নকর্মীদের।
ভোলার চরফ্যাশনের শ্রবণী খেলাঘর আসরের সেক্রেটারি শ্রী হ্দয় চন্দ শিল বলেন, নদীতে ট্রলার আটকে যাওয়াসহ নানা ভোগান্তিতে চরফ্যাশন থেকেই অনেকে ফিরে যান। এ অবস্থায় এলাকায় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে।
এদিকে, প্রকৃতির এ ভূস্বর্গকে কাজে লাগিয়ে চর কুকরি-মুকরিও তাড়ুয়া দ্বীপে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। অবশ্য, পর্যটকদের ভোগান্তি দূর করার পাশাপাশি এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেন বিভাগীয় কর্মকর্তা ।বন বিভাগের তথ্য মতে, মেঘ-সাগর আর সবুজের সাথে মিতালি করতে এ মৌসুমে তাড়ুয়া দ্বীপ ও চর কুকরি-মুকরিতেপর্যটক এসেছে প্রায় ৩০ হাজার।