নগরীর দৌলতপুরের ভৈরব নদের পশ্চিমে ঘেঁষে বিএল কলেজের উত্তরে গড়ে ওঠা অতি পুরাতন দৌলতপুর ট্রেডস্কুল পুলিশ ফাঁড়ি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ফাঁড়িটি ১৯৭১ সালের আগে এই অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থানা হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল ব্যাপক এলাকা জুড়ে। সেই থেকে ফাঁড়িটি সংস্কার ও মেরামতের কাজ হয়নি।
তবে কোন রকম অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্ব দিকে একটি সেড ঘরে থাকার ব্যারাক রয়েছে, সেটা পুলিশের থাকার জন্য সংকুলান নয়। যেটা অফিস ও থানার জন্য একেবারেই অনুপযোগী এবং পুলিশ স্টেশনের জন্য নিরাপত্তাহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ। ০১ জন ফাঁড়ি ইনচার্জ (এসআই), ০২ জন এএসআই ও ১৭ জন কনস্টেবল রয়েছে। গ্রীষ্মের তাপে ব্যারাকে থাকা অত্যন্ত বাধ্য হয়ে পড়ে। আর অফিসের কার্যক্রম চলে টিনের এক চালার নিচে।
বিএল কলেজ, দৌলতপুর, ভৈরব নদীর অংশবিশেষ সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তদারকি করতে আরো জনবল প্রয়োজন বলে ফাঁড়ির অফিসসূত্রে জানা যায়। পুরাতন ভবনের ছাদ যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সম্ভাবনা রয়েছে,যে ভবনটিতে কিছুকাল আগেও ফাঁড়ির মূল ভবন ছিল।
সাবেক আইজিপি মরহুম আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইকবাল কেএমপি কমিশনার থাকাকালীন নিরাপত্তার জন্য নতুন টিন সেড ঘর নির্মাণ করার ব্যবস্থা করে দেন। শৌচাগার, পানি, রান্নার ঘর, প্রাচীর ওয়াল সহ ফাঁড়ির গেট একান্ত প্রয়োজন না হয়ে পড়েছে।
দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আসলাম পুলিশ বাহিনীর উপর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষকে ফাঁড়ির উপযোগী নতুন ভবন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শেখ আসলাম আরো বলেন যে, সুদূর প্রসারী দৌলতপুর বাজার সার্বক্ষণিক অক্লান্ত পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করে এই ট্রেডস্কুল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কিন্তু ইদানিং ট্রেডস্কুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিশদগায়ন করে বলেন যে, তিনি দৌলতপুর বাজার বৈনিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আচার ব্যবহার কার্যকলাপ ভালো করছেন না এবং যাকে তাকে অপরাধী মনে করে হুমকি দুমকি দেন।
পুলিশ ফাঁড়ি সম্পর্কে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, দৌলতপুর ট্রেডস্কুল পুলিশ ফাঁড়ি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত সত্যতা স্বীকার করে অনতিবিলম্বে ফাঁড়ির উন্নয়ন কাজ হবে বলে জানান ।