অতীতে কোনো সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেনি উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম একটি স্বাস্থ্য সেবা। কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্য সেবা তো রাষ্ট্র নিশ্চিত করেনি বরং স্বাস্থ্যখাতকে সরকার দলীয় লোকজন ধ্বংস করে দিয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী বিগত ৫৪ বছরে যেই দল যখন ক্ষমতায় বসেছে ঐ দলের দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। জামায়াত কখনো ক্ষমতার মসনদে না বসলেও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিগত ৫৪ বছর সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ দলের শাহবাগ পূর্ব থানার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠিত মেডিকেল ক্যাম্পে শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ প্রদান করা হয়।
শাহবাগ পূর্ব থানা আমীর আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মো. নুরুন্নবী রায়হানের পরিচালনায় সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টর ফোরামের সহ-সভাপতি ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন, সেগুনবাগিচা সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন মিঠু, মহানগরী পেশাজীবি নেতা সরদার আব্দুল কাদের, পল্টন নাগরিক ফোরামের সভাপতি মো. ওবায়ল্লাহ, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের, শাহবাগ পূর্ব থানা সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল মুনিম খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত, বেকারত্ব দূরীকরণে যুবসমাজের জন্য কর্মমূখী প্রশিক্ষণ, যুকবদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কর্জে হাসানা (সুদবিহীন ঋণ), শিক্ষা সহায়তা, বন্যা-নদী ভাঙ্গনে ক্ষমিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামী অন্যদের মতো রাজনীতিকে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেনি, করবে না। জামায়াত মানবতার কল্যাণে দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এবং আগামীতেও করবে।
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সবার আগে মানুষের মৌলিক অদিকার নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে ড. হেলাল আরো উদ্দিন বলেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা হবে।
বিদ্যুৎ-গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করা হবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কেউ খাম্বা চুরি করবে না, বিধাবা ভাতার কার্ডের জন্য অসহায় বিধাবা কোনো বোন থেকে হাজার টাকা ঘুষ নিবে না, গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল-গম চুরি করবে না, ফুটপাত দখল দিবে না, রিকশা-ভ্যান-সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদা তুলবে না, ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে চাঁদাবাজি করবে না, একজন প্রবাসীর সারা জীবনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের টাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে কেউ চাঁদা চাইবে না, দ্ররিদ্র-অসহায় মানুষের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দকৃত ঔষধ কালোবাজারে বিক্রি হবে না।
প্রত্যেক নাগরিকের প্রাপ্য ন্যায্য অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে। বৈষম্যহীন একটি সুখি-সমৃদ্ধ কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। সেই নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।