ই-পেপার বাংলা কনভার্টার বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪ কার্তিক ১৪৩২
ই-পেপার বৃহস্পতিবার ● ৩০ অক্টোবর ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




শিক্ষা ক্যাডার
পদোন্নতির দাবিতে প্রভাষকদের ‘কর্মবিরতির’ হুঁশিয়ারি
শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি
ভোরের ডাক রিপোর্ট:
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম  (ভিজিটর : ৭৬)
এক যুগ চাকরিতে থেকেও প্রথম পদোন্নতি না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে পদোন্নতি না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। অর্থ্যাৎ তারা ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণ দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিক্ষা ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রভাষকরা। পরে দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি জানান, ২ নভেম্বরের মধ্যে ডিপিসি বৈঠক আয়োজন এবং ১২ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জিও জারি করতে হবে।

৩৪তম বিসিএসের প্রভাষক সজল আলী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহেও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা সুপারনিউমারারি পদোন্নতি পেয়েছেন। অথচ শিক্ষা ক্যাডারে ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জন করেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। 

তিনি আরও বলেন, “নিয়মিত পদোন্নতি এখন শিক্ষা ক্যাডারে সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। শুধু পদোন্নতির ক্ষেত্রেই নয়, পদ আপগ্রেডেশন, পদ সৃষ্টি, সাত কলেজ ইস্যুসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ক্যাডার। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছেন প্রভাষকরা।” 

সজল আলী সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সরকারি কর্মকর্তা, কাজ করতে চাই। কিন্তু যদি ২ নভেম্বরের মধ্যে ডিপিসির তারিখ না পাই এবং পদোন্নতির সিদ্ধান্ত না হয়, তাহলে আমরা বাধ্য হব লাগাতার কর্মসূচি নিতে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দাবিগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়িত না হলে পদোন্নতিবঞ্চিত প্রভাষকরা ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।”

এক যুগেও প্রথম পদোন্নতি হয়নি
চাকরির ১২ বছর পূর্ণ হলেও শিক্ষা ক্যাডারের অনেক প্রভাষক এখনো প্রথম পদোন্নতি পাননি বলে অভিযোগ করেন সজল আলী। তিনি জানান, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের প্রায় চার শতাধিক প্রভাষক এক যুগেও প্রথম পদোন্নতি পাননি। ৩৪তম ব্যাচের চাকরি হয়েছে ১০ বছর, ৩৫তম ব্যাচের ৯ বছর, ৩৬তম ব্যাচের ৮ বছর, আর ৩৭তম ব্যাচের ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে। 

গ্রেডেশনভুক্ত পদোন্নতিযোগ্য প্রভাষকের সংখ্যা অনুযায়ী, ৩২তম ব্যাচে ৫৪ জন, ৩৩তম ব্যাচে ৩৬১ জন, ৩৪তম ব্যাচে ৬৩১ জন, ৩৬তম ব্যাচে ৪৬০ জন এবং ৩৭তম ব্যাচে ১৫৩ জন রয়েছেন। 

সজল আলী বলেন, “এসব ব্যাচের কর্মকর্তারা যোগ্যতা অর্জন করলেও সবার পদোন্নতি হয়নি। অথচ একই ব্যাচের অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে প্রথম পদোন্নতি পেয়ে দ্বিতীয় পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন।” 

তিনি আরও দাবি করেন, ৩৫তম ব্যাচ পর্যন্ত পদোন্নতিতে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই, অর্থাৎ বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়াই পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব। 

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সজল আলী বলেন, “আমরা আশা করি সরকার সদিচ্ছা দেখিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদোন্নতির জিও জারি করবেন। তাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাষকদের কর্মউদ্দীপনাও ফিরে আসবে।





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : bhorerdakonline@gmail.com, adbhorerdak@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : bhorerdakonline@gmail.com, adbhorerdak@gmail.com