প্রকাশ: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:৫৮ পিএম (ভিজিটর : ৩৩৪)
এবারের বইমেলায় বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক সফিকুল হাসান সোহেল এর দ্বিতীয় গবেষণাগ্রন্থ বাউল কারী আমীর উদ্দিন খালি আমার দেহ পিঞ্জিরা প্রকাশিত হয়েছে। একজন বাউল সাধক পৃথিবীর কিছু পাবার প্রত্যাশায় সাধনা করেন না বরং স্রষ্টার ধ্যানে মহাত্মার মিলনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে গীতের প্রণয় টানে টানে মরমি সাধনায় ব্রত হয়ে থাকেন। গেয়ে থাকেন।
তারা সাধারণতঃ প্রচার বিমুখ হন। কে তাদের মূল্যায়ন করল আর কে বিরুদ্ধাচরণ করল তা ভাবার সময় ভাবুক বাউলের নেই। ছয় রিপুর ভেদ ভেঙেই তারা ঐ পর্যায়ে এসেছেন। আমাদের আরশিনগরের পড়শি বাড়ি জন্ম নেয়া গুণীজনদের খবর আমরা রাখি না। লালন, হাসন, রাধারমণ, শাহ আব্দুল করিম, ক্বারী আমীর উদ্দিন পৃথিবীতে একবারই জন্ম নেন, একবারই আসেন।
বাংলা লোকগানের জীবন্ত কিংবদন্তীদের একজন ক্বারী আমীর উদ্দিন, তার গানই তাকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখবে তাতে সন্দেহ নেই। ভাবুক পাঠক ও চিন্তাশীল শ্রোতাদের কাছে তার গানের চাহিদা ও গুরুত্ব অপরিসিম- আত্মার ধ্যানে মহাত্মার মিলনে সাধনাময় জীবনে সৃষ্ট সমৃদ্ধ গানের ভান্ডার মরমি চিন্তাজগতে ও বাংলাদর্শন পরিমন্ডলে এক অনন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ‘আমীরী সংগীত’ অন্যরকম এক আসন তৈরি করেছে সংগীত অঙ্গনে। আপাতদৃষ্টিতে তার গান চিত্তবিনোদনের খোরাক জোগালেও এসব গানের মর্মকথা স্বতন্ত্র দর্শন হিসেবে বিভিন্ন পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকটা সময় দেরি হয়ে গেছে এই জীবন্ত কিংবদন্তীকে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করার। জীবিত থাকতেই যদি মূল্যায়ন করা না যায় তবে মরণের পরে সম্মান জানিয়ে লাভ কি!!
সময় থাকতে যা করার করতে হবে। এই বাউলকে আবারও নতুন করে নতুন প্রজন্মের কাজে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই ‘খালি আমার দেহ পিঞ্জিরা’ প্রকাশিত হয়েছে।
ভাবসাধকদের কাছে সমাদৃত হলে গবেষক ও প্রকাশকের পরিশ্রম সার্থক হবে। এটি প্রকাশ করেছে কাব্যকথা প্রকাশনী,অমর একুশে বইমেলা,স্টল নং ৩১৮ (সোহরাওয়াদী উদ্যান, পুকুড়পাড়)।
-পুঁথিসম্রাট জালাল খান ইউসুফী