ই-পেপার শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম: প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল        মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামীকাল : পলক       মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ও ফেসবুক চালুর বিষয়ে যা জানা গেলো       নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৮       আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী       খুলেছে অফিস-আদালত, গণপরিবহন সংকটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি        বান্দরবানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত      




শত চেষ্টা করেও অবৈধ স্থাপনা বহাল রাখতে পারছে না খাল দখলকারীরা
*দখলকারীদের বিরুদ্ধে উত্তর সিটির আ্যকশন শুরু
সাইদুল ইসলাম
Published : Friday, 23 February, 2024 at 9:27 PM
রাজধানীর খাল দখল করে বছরের পর বহুতল ভবন, মার্কেটসহ নানা স্থাপনা গড়েছ প্রভাবশালী মহল। আর এসব অবৈধ স্থাপনা বহাল রাখতে শত চেষ্টা করছেন খাল দখলদারীরা। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আ্যকশন শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব খাল ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসা থেকে বুঝে নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। বুঝে নেয়ার পর খাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে দুই সিটি। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন খাল দখল করে গড়ে উঠা বহুতল ভবন, মার্কেট ও সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার মোহাম্মদপুরের লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে উত্তর সিটি। অভিযানে একাধিক অবৈধ স্থাপনা বুল্ডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় লাউতলা খালের পাড়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে দিয়েছে উত্তর সিটি। নির্মাণাধীন ভবনটির ৭০ ভাগই খালের জায়গা দখলে নিয়ে করা বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনটির অবৈধ অংশ ডিএনসিসি ভেঙে ফেলেছে। পর্যায়ক্রমে সব ধরনের স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। ফলে উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন পর করছে খাল দখল করে গড়ে উঠা এসব ভবন ও মার্কেট মালিকরা। 

জানা গেছে, রাজধানীতে টানা বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে চরম জলাবদ্ধতা। মূলত খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে খলগুলো উদ্ধারে কাজ করছে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর রাজধানীর খালগুলো উদ্ধারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দুই সিটি। এতে দখলদাররা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। যদিও গত ৩২ বছর রাজধানীর খালের দায়িত্ব পালন করে ঢাকা ওয়াসা। এতে সংস্থাটি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহলে। পরে দুই সিটি মেয়রের আগ্রহে গত বছরের ১ জানুয়ারি ২৬টি খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে ঢাকা ওয়াসা। এরপরপরই খাল উদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে দুই সিটি কর্পোরেশন। এতে দখলদাররা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। তবে বিপাকে পড়ছে সাধারন মানুষেরা। কারণ এসব খাল দখল করে প্রভাবশালীরা নানা স্থাপনা নির্মাণ করে তারা নিম্ম ও মধ্যবিত্তদের কাছে ভাড়া দিয়েছে। এখন এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করায় তারা চরম বিপাকে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দুই সিটির অধিনে থাকা খালগুলো হচ্ছে, কাটাসুর খাল, রামচন্দপুর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, খিলগাঁও-বাসাবো খাল, শাহজাদপুর খাল, সুভিভোলা খাল, আব্দুল্লাহপুর খাল, সেগুনবাগিচা খাল, মহাখালী খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, দ্বিগুণ খাল, বাউনিয়া খাল, কল্যাণপুর ‘ক’ খাল, কল্যাণপুর ‘খ’ খাল, কল্যাণপুর ‘ঘ’ খাল, কল্যাণপুর ‘ঙ’ খাল, কল্যাণপুর ‘চ’ খাল, কল্যাণপুর প্রধান খাল, দেবদোলাই খাল, রূপনগর মেইন খাল, রূপনগর ব্রাঞ্চ-১ খাল (চিড়িয়াখানা), রূপনগর ব্রাঞ্চ-২ খাল (আরামবাগ), রূপনগর ব্রাঞ্চ-৩ খাল (দুয়ারীপাড়া), জিরানী খাল, মাণ্ডা খাল, হাজারীবাগ খাল (কালুনগর অংশসহ), কসাইবাড়ি খাল, সাংবাদিক কলোনি খাল, এবং বাইশটেকি খাল। এসব খাল রক্ষায় এখন কঠোর অবস্থানে দুই সিটি। বিশেষ করে উত্তর সিটি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আ্যকশন শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার বছিলার লাউতলা খালে মেয়রের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙ্গে দিয়েছে উত্তর সিটি। একই খালের জায়গা দখল করে বানানো আরও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী। অভিযান শুরুর আগে গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে বছিলায় অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চল পুলিশ লাইন মাঠে (বছিলা ট্রেনিং একাডেমি) ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবীদের শপথবাক্য পাঠ করান। সেখানে তিনি বলেন, খালে যারা ময়লা ফেলেন, তাঁদের মস্তিষ্কে ময়লা আছে। তাদের মনে ময়লা আছে। তারা সুনাগরিক নন। খালে ময়লা ফেলে নিজেদের সুনাগরিক দাবি করা যায় না।

তিনি বলেন, কোনো দখলদারকে নোটিশ দেওয়া হবে না। খালের ১০০ ফুটের মধ্যে যা যা পড়বে, সব ভেঙে ফেলা হবে। অবৈধ স্থাপনা ভাঙা না হলে দেখাদেখি আরেকজন খাল দখল করবেন।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]