ই-পেপার বাংলা কনভার্টার বুধবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার বুধবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:



এখনও হয়নি আসন সমঝোতা
বিএনপির দিকে তাকিয়ে মিত্ররা
কে কোন আসনে নির্বাচন করবে জানেনা, ঝুলিয়ে রাখায় ক্ষুদ্ধ অনেকে
সোহাগ রাসিফ
প্রকাশ: বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৬ এএম  (ভিজিটর : ৩৩)
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনী আসনে সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে জোড়ালো প্রস্তুতি নিচ্ছে দলের মনোনিত প্রার্থীরা। কিন্তু দির্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র শরিকদের সাথে এখনও হয়নি আসন সমঝোতা। তাই তারা তাকিয়ে আছে বিএনপির দিকে। দলগুলো বলেছে, তাদের ঝুলিয়ে না রেখে, কাকে কোন আসন ছাড়বে, খুব শিগগিরই এর সমাধান দিতে। যাতে করে তারা সময় নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করতে পারে।

গত ৩ নভেম্বর ৬৩ আসন খালি রেখে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর এক দিন পর মাদারীপুর-১ আসন স্থগিত করা হয়। খালি রাখা আসনের মধ্যে কিছু আসনে দির্ঘদিনের মিত্র সমমনা দল ও জোটের নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি। কিন্তু এখনো কাউকেই চূড়ান্ত করেনি দলটি। কে কোন আসনে নির্বাচন করবেন তা এখনও জানা যায়নি। তাই ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচারেও নামতে পারছেন না তারা।  মিত্র দলের নেতারা অভিযোগ করে বলছেন, যেসব সম্ভাব্য আসনে তারা নির্বাচন করবেন, সেখানেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা কাজ করছেন। এ কারণে তারা দ্বিধায় পড়েছেন। এছাড়াও কেউ কেউ আসন পাওয়া নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়।

মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা জোটের আসন এখনও চূড়ান্ত করিনি। সব দলকে হয়তো আমরা পর্যাপ্ত আসন দিতে পারব না। তবে কিছু দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যালোচনা করছেন। তিনি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিএনপির একটি সুত্র জানিয়েছে, বিগত দিনে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে বিএনপির হাইকমান্ড। মিত্র দলের প্রার্থীর এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, মাঠের পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সক্ষমতা, বিএনপির তৃণমূলের সঙ্গে শরিক দলের প্রার্থীর সম্পর্কসহ নানাবিধ মানদন্ড পর্যবেক্ষণ করে তাদেরকে পর্যাপ্ত আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও যোগাযোগ চলছে। তবে খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে সমাধান করবে বিএনপি।

জানা যায়, আসন সমঝোতা নিয়ে গত শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তখন আমীর খসরু জানিয়েছেন, তারা বাকি আসনগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। বিএনপি সমমনাদের আসনগুলো নিয়ে বেশি সময় নিচ্ছেন বলে মনে করছেন দল ও জোটের নেতারা। তাদের ভাষ্য, বিএনপি এখন আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে না। তাদের আসনগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় বিক্ষুব্ধ তারা।

গণসংহতি আন্দোলন-জিএসএর প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমার আসন নিশ্চিত হলেও অন্যদের বিষয়ের এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বিএনপি আলোচনা করতে চায় না। তারা এখন পর্যালোচনা করছে। আমরা এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ। 

এদিকে ১২ দল থেকে তিনজনকে বিএনপি ছাড় দেবেবলে গুঞ্জন রয়েছে। তারা হলেন- পিরোজপুর থেকে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, লক্ষ্মীপুর থেকে এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও কিশোরগঞ্জ থেকে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম (কিশোরগঞ্জ-৫), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সহ-সভাপতি তানিয়া রব (লক্ষ্মীপুর-৪) আসনে নির্বাচন করতে চেয়েছেন। ওই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (ঢাকা-৮) এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (জামালপুর-৫) আসনে নির্বাচন করতে চান। এই দু’টি আসনে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা নির্বাচন করতে চান। 

এ ছাড়া সমমনা দল ও জোটদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক চট্টগ্রাম-১৪ এবং মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, বিজেপি’র চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা-১৭, বাংলাদেশ এলডিপি’র চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর-১, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান ঠাকুরগাঁও-২, এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের জন্য ঢাকা-১৩, এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইল-২, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। ওদিকে ঢাকায় ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৬টি আসন ফাঁকা রেখেছে। 





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : bhorerdakonline@gmail.com, adbhorerdak@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : bhorerdakonline@gmail.com, adbhorerdak@gmail.com