ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রবিবার ● ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ৬ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার রবিবার ● ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর
বিদেশে চিকিৎসায় বছরে বাংলাদেশ হারাচ্ছে ৫ বিলিয়ন ডলার
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৯ পিএম  (ভিজিটর : ১৮৬)
বিদেশে চিকিৎসায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলে যায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে ডাক্তার দেখায়। স্বাস্থ্য খাতে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে। আমরা গবেষণা করতে পারছি না। কারণ বিগ ডেটা আমাদের কাছে নেই। যদি থাকতো তাহলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারতাম যে কোনটি বেশি কার্যকর। 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ক্রস বর্ডার ডাটা ফ্লো: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় এনাবলিং ক্রস বর্ডার ডেটা ফ্লোজ উইদিন বিবিআইএনএস টুওয়ার্ডস রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মমালা আয়োজন করা হয়। 

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পিআরআই গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর মহিবুল ইসলাম, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সাব্বির হোসেন প্রমুখ। কর্মমালা সঞ্চালনা এবং সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআই চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদি সাত্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নিধি পারেখ। প্রবন্ধের বাংলাদেশ অংশ তুলে ধরেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান। 

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এখন খনির চাইতে ডেটাকে মাইনিং করে যে খনি হয় সেটার দাম অনেক বেশি। কয়লা খনি বা তেল খনি থেকেও ডেটা খনি অনেক বড়। বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ আছে। এখানে অনেক ডাটা ক্রিয়েট হচ্ছে। আমাদের মোবাইল সিস্টেম থেকে হচ্ছে, আমাদের ক্ষুদ্র-মাঝারি খাত থেকে হচ্ছে, ট্যুরিজম সেক্টর থেকে হচ্ছে, কিন্তু সেটা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে এর কোনো ভ্যালু আমরা পাচ্ছি না। তিনি বলেন, আমি মনে করি ডাটাবেজ, ডাটা মাইনিং, ডাটা স্টোরেজসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যদি আমরা উন্নতি করতে পারি তাহলে আমরা অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবো। এর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইনি কাঠামো তৈরি এবং আচরণগত পরিবর্তন করতে হবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে তথ্য আদান-প্রদান হয় না বললেই চলে। অনেকটা সাইলোর মতো। যার যার তথ্য তার তার কাছেই থাকে। এমনকি নিজেদের মধ্যেও তথ্য আদান-প্রদান করা হয় না। 

তিনি বলেন, বিদেশে চিকিৎসায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলে যায়। কিন্তু তারা সেই টাকা কোথায় খরচ করে আমরা জানি না। অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে ডাক্তার দেখায়। গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংকিং তথ্যের ক্ষেত্রেও সরকারিভাবে বলা হয় যে তিনটি ফ্যাসিলিটি রাখা; ডাটা সেন্টার, রিকভারি সেন্টার, ডিসাস্টার রিকভারি সেন্টার- যা ব্যাংকের পক্ষে ম্যানেজ করা অর্থাৎ তথ্য নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা অনেক কঠিন। এই জায়গাতে আমরা সম্মিলিতভাবে আইনগতভাবে কাজ করতে পারি। বিশেষ করে ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যাংকগুলোর যদি একসঙ্গে কাজ করে। তিনি বলেন, আমাদের ডেটা স্টোরেজের কোনো পলিসি নাই। বাংলাদেশে এখনো ডমেস্টিক ক্লাইউড সার্ভিসগুলো সেভাবে ডেভেলপ করেনি। এটা না করলে আমরা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে পারবো না। সেটা মেডিকেল হোক, ট্যুরিজম হোক বা ফাইন্যান্সিয়াল হোক।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]