ই-পেপার বাংলা কনভার্টার সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ই-পেপার সোমবার ● ২ ডিসেম্বর ২০২৪
Select Year: 
শিরোনাম:




দেখা মিলেনা কর্মীর,নেতার দলে পরিনত জাতীয় পার্টি
সুজন দে
প্রকাশ: সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪, ৬:৪৯ পিএম  (ভিজিটর : ৭৪৩)
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সুদক্ষ সেনানায়ক থেকে হয়ে উঠেছিলেন জননেতা। দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন প্রায় নয় বছর। তার নয় বছরের শাসনামল নিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক পক্ষের কাছে তিনি নিন্দিত হলেও আপামর জনসাধারণের কাছে হয়ে উঠেছিলেন নন্দিত  রাষ্ট্রনায়ক-সুদক্ষ প্রশাসক।যে প্রশাসকের হাত ধরেই বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এসেছিল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ক্ষমতায় থাকার সময়ই নিজে গড়ে তুলেছিলেন  জাতীয় পার্টি নামে রাজনৈতিক দল।

 নব্বইয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পরও এরশাদের জাতীয় পার্টি ছিলো বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম পরাশক্তি। দেশের যে প্রান্তেই জেনারেল এরশাদ জনসভা করেছেন, সেই জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার  দলীয় নেতাকর্মী সহ অগনিত এরশাদ ভক্ত সাধারণ মানুষ। যারা লাঙ্গলের পক্ষে স্লোগান ধরেছে কন্ঠ ছেড়ে। তবে সেই দৃশ্য এখন কেবলই অতীত স্মৃতি। এখন দলটিতে এরশাদ ভক্তকর্মী  দেখা মেলা দায়। দিনে দিনে নেতার দলে পরিনত হচ্ছে জাতীয় পার্টি। নিজের পাঁচজন সমর্থক বা কর্মী নেই, কোনোদিন একক ভাবে একশ নেতাকর্মী নিয়ে একটা মিছিল করতে পারেনি, তেমন ব্যক্তিরা দলটির কেন্দ্রীয় নেতা। প্রসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টা,ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ন মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদকের ছড়াছড়ি। খোঁদ দলটির চেয়ারম্যানও জানেন না তার দলে কেন্দ্রীয় নেতার সংখ্যা কতজন। যখন যাকে খুশি  চলে বহিস্কার, চলে নিযোগ, প্রদায়ন। এভাবেই চলছে   হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রেখে যাওয়া জাতীয় পার্টি। 

এই ব্যাপারে ভোরের ডাকের সঙ্গে কথা হয় দলটির যুগ্ন  দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সঙ্গে।  তিনি  জাতীয় পার্টির কর্মী শুন্যতা ও নেতার দলে পরিনত  হওয়ার কথা  স্বীকার করে বলেন, এই কথা অস্বিকার করার উপায় নেই যে, আমাদের দলে সত্যিই নেতার সংখ্যা বেশি। সবাই শুধু বড় বড় পদ পেতে চায়। কিন্তু তৃণমূলে কর্মী সৃষ্টি করে  দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার মানসিকতা কম নেতার মধ্যে দেখা যায়। এটা সত্যিই দুঃখজনক। কর্মী তৈরিতে যে ধরণের সাহায্য সহযোগীতা আমাদের দেয়া উচিত তা আমরা দিতে পারি না। এই কারণেও হয়তো কর্মীর সংখ্যা দেখা যায় না।  তবে কর্মী যে একেবারে নেই তা কিন্তু বলা যাবে না। বিশেষ কারণে হয়তো তারা  বর্তমানে লুকায়িত অবস্থায় আছে। নিশ্চয় সময়-সুযোগে তারা আবারো জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সরব হবে।

এদিকে একাধিক বার দলীয় কোন্দলে ভেঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হওয়া জাতীয় পার্টি আবারো ভাঙ্গতে যাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ইস্যু ও দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে যাওয়া প্রার্থীদের নির্বাচনের সময় কেন্দ্র থেকে খোঁজ খবর না নেয়া ইস্যুতে জাপায় বড় ধরণের বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। এই বিদ্রোহের জেড়ে কো-চেয়ারম্যান এডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়,  জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু, যুগ্ন মহাসচিব ইয়াহিয়া চৌধুরী, ফখরুল আহসান শাহজাদার মতো প্রভাবশালী নেতাদের জি.এম কাদের বহিস্কার করেন। 

পাল্টা জি.এম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে জাপার মুল অংশের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এরশাদের স্ত্রী সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে মহাসচিবের পদ খেকে মুজিবুল হক চুন্নকে বহিস্কার করে কাজী মামুনুর রশিদ মামুনকে নতুন মহাসচিব নিয়োগ করেন রওশন এরশাদ।  ফলে রওশন শিবিরে যোগ দিয়ে পাল্লা ভারী করেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, ইয়াহিয়া চৌধুরী, ফখরুল  আহসান শাহজাদার মতো জাপার কর্মীবান্ধব নেতারা।  

আগামী ৯ মার্চ এই অংশটি জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সস্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছেন। সস্মেলন সফল করার জন্য বেগম রওশন এরশাদের বাসভবনে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন রওশন এরশাদের অনুসারীরা। তাদের দাবী, তাদের অংশই জাতীয় পার্টির মূল। তাই সারাদেশ থেকে হাজার হাজার এরশাদ ভক্ত জাপার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হবেন। বর্নাঢ্য ও বর্নিল সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে বলে আশা রওশনপন্থী জাপার নেতাকর্মীদের।  যে নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি আবারো রাজপথে সরব হয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থের আন্দোলন জোরদার করবে, এমনটায় মন্তব্য করেছেন জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে  রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির অন্যতম সংগঠক ফখরুল আহসান শাহজাদা।

 তিনি ভোরের ডাককে বলেন, নেতাবান্ধব নয়, আবারো কর্মীবান্দব দলে পরিনত হবে প্রয়াত এরশাদ স্যারের রেখে যাওয়া জাতীয় পার্টি। এই জন্য কাজ করছেন, একঝাঁক মেধাবী, শিক্ষিত  ও ম্মার্ট তরুন-তরুনী। 





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]