ই-পেপার শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম: প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল        মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামীকাল : পলক       মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ও ফেসবুক চালুর বিষয়ে যা জানা গেলো       নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৮       আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী       খুলেছে অফিস-আদালত, গণপরিবহন সংকটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি        বান্দরবানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত      




মেট্রোতে স্বস্তি যাত্রীদের
যানজট নিরসনে অবদান নেই
দারা মাহমুদ
Published : Wednesday, 14 February, 2024 at 2:49 PM, Update: 14.02.2024 3:01:07 PM
ঢাকা মহানগরের অধিবাসীদের দৈনিক যাত্রায় স্বস্তি আনা এবং মহানগরের যানজট কমানোর জন্য সরকার ২০১৩ সালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট লাইন-৬ এর কাজ হাতে নিয়েছিল। ঢাকার মিরপুর এবং উত্তরার অধিবাসীরা মতিঝিল যাত্রায় স্বস্তি পেয়েছে ঠিকই, তবে মেট্রো চালু হলে যানজট কমবে বলে যে ধারণা করা হচ্ছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে।

 ঢাকা শহরে যত বাস চলে তার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মিরপুর এবং উত্তরা রুটের বাস, যদি মেট্রো পুরোপুরি চালু হয় তাহলে এই দুই প্রধান রুটের যাত্রী কমে যাবে ফলে বাসও কমবে যার অনিবার্য ফলাফল হিসেবে মহানগরে যানজট কমবে। কিন্তু ঘটনাটা তেমন ঘটল না, উল্টো যানজট আরও বেড়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর যানজট দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। 

বিশিষ্ট নগরবিদ, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক বলেছিলেন, ‘মেট্রোরেল যানজট সমস্যার সমাধান দেবে না। যানজট নিরসনে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।’ আমরা ড. হকের সাথে একমত। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এসব প্রকল্প গ্রহণ ঠিক আছে, এগুলোর দরকার আছে, কিন্তু সবার আগে দরকার ঢাকার পরিবহনব্যবস্থা ঢেলে সাজানো।

পৃথিবীর যেকোনো দেশের রাজধানী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। এখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। শিক্ষা, চিকিৎসা কর্মসংস্থান সবকিছুই রজাধানীকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এখন প্রায় অচল শহরে পরিণত হয়েছে। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এক সময় কলকাতা মহানগরকে ‘মৃত শহর’ বলেছিলেন। এখনকার কলকাতা থেকে ঢাকার অবস্থা অনেক খারাপ। আশির দশকে ঢাকা শহর কলকাতা এবং ব্যাংকক থেকে গতিশীল ছিল। এখন ওই দুই শহর ঢাকা থেকে অনেক গতিশীল। কারণ তারা তখন থেকে শহর গতিশীল করার তৎপরতা শুরু করেছিল।

রাজধানী ঢাকার যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে এখন আবির্ভূত  হয়েছে অযান্ত্রিক বাহন রিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য। ’৯০ দশকে বিশ্বব্যাংক ঢাকার যানজট নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল। তারা কিছু কিছু রাস্তা একমুখী এবং শহরের মূল সড়ক থেকে রিকশা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছিল। সে অনুযায়ী রিকশা চলাচল সীমিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩-১৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে রিকশা আবার সব সড়কে ঢুকে যায়। কিন্তু তাদের আর ফেরায়নি ট্রাফিক বিভাগ, আর একটি বড় কারণ হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক শাসুল হক বলেন, ‘ঢাকায় বড় বড় দ্বিতল বাস সব সড়কে ৫-১০ মিনিট পরপর ছাড়তে হবে, আর স্কুলবাস নিশ্চিত করতে হবে তাহলে ব্যক্তিগত গাড়ি কমে আসবে।’ আমরা তো মনে করি ঢাকার বড় বড় মেগা প্রকল্পের থেকে সড়ক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনা বেশি জরুরি। সড়ক গতিশীল হলে মেট্রো এক্সপ্রেসওয়ের সুফল প্রকৃত অর্থে পাওয়া যাবে।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পিএবিএক্স: ৪১০৫২২৪৫, ৪১০৫২২৪৬, ০১৭৭৫-৩৭১১৬৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন: ৪১০৫২২৫৮
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected]