ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন জনপ্রিয় এই নায়িকা। বিরতি দিয়ে মাঝে তিনটি সিনেমায় কাজ করলেও সেগুলো মুক্তির প্রহর গুণছে।
পূর্ণিমার অভিনয়ে কম উপস্থিতি থাকলেও মাঝে মধ্যেই উপস্থাপনায় দেখা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে পূর্ণিমা জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের পলিটিক্সের কারণে অনেক সিনেমা থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি।
পূর্ণিমা বলেন, চলচ্চিত্র কমে আসছে। অনেক শিল্পী ঘরে বসে গেছেন। অনেক গুণী শিল্পী মারা গেছেন। কোনো কোনো পলিটিকস তো আছেই। কিছু না কিছু পলিটিকসের কারণে অনেকেই ছবির কাজ পায়নি। আমিও পলিটিকসের শিকার!
এই পলিটিকসের কারণে সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, আমি কিছু কিছু ছবি থেকে বাদ পড়েছি, আমি জানি। যদিও আমি বলি— আমি করিনি কিছু কিন্তু আমি থাকা অবস্থায় অনেক ছবি থেকে বাদ পড়েছি। পলিটিকস ছিল বলেই এটা হয়েছে। এখন কিছু বলার নেই। ছবি কমে গেছে। এফডিসিও এখন ছোট হয়ে আসছে।
দর্শক চাহিদা থাকলেও বড় পর্দায় এখন নিয়মিত নন পূর্ণিমা। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বড়পর্দায় যে ছবিগুলো হচ্ছে বা যে গল্পগুলো হচ্ছে, হয়তোবা আমার সময় অনুযায়ী, আমার ২৫ বছরের যে ক্যারিয়ার, সে অনুযায়ী যে চরিত্র থাকা দরকার সে রকম ভালো চরিত্রের অফার আসে না। সে জন্য আমি কাজগুলো কম করছি। আর যেসব ছবি হচ্ছে, আমি হয়তোবা ম্যাচ করতে পারছি না।
এসময় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করা প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, কিছু গল্পে আছে, যেখানে হয়ত কিছু আপত্তিকর দৃশ্য অভিনয় করতে হবে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো আপত্তিকর দৃশ্যে কাজ করতে পারব না। ওটিটিতে যেহেতু সেন্সরের কিছু নেই, দেখা গেল ওই গল্পের জন্য দৃশ্যটা খুবই জরুরি ছিল। এমন সব গল্প আমাকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। পরে হয়তো আরও ভালো কোনো অভিনেত্রীকে তারা নিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে আমি মনে করি, এটা আমারই ব্যক্তিগত সমস্যা।
পূর্ণিমা অভিনীত বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় আছে সরকারি অনুদানে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’। সিনেমাতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ। এছাড়াও নির্মাণাধীন রয়েছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ সিনেমা দুটি।