প্রকাশ: শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:১৩ এএম (ভিজিটর : ৬৩৮)
বাংলাদেশে তাপমাত্রা আরো ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট বাড়লে বরেন্দ্র অঞ্চলে যে খরা হয় তা ক্রমান্নয়ে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর কনফারেন্স রুমে ৯টি পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগীতায় বায়ুন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় তারা এ কথা জানান।
পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ.এস.এম মাকসুদ কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ এর সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি এবং অর্থ মন্ত্রনালয় বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি। কর্মশালার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে এখন ছয় ঋতু খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা এখন বছরের ৯ মাস উত্তাপের মধ্যে কাটাই। শীতের প্রকোপও পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন আমরা অনুভব করি। তারা বলেন, বাংলাদেশে তাপমাত্রা আরো ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট বাড়লে বরেন্দ্র অঞ্চলে যে খরা হয় তা ক্রমান্নয়ে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে। এতে খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। লস এন্ড ড্যামেজ নিয়ে বিগত জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে (কপ) আলোচনা হলেও ফান্ড নিয়ে তেমন কোনো কথা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা বাড়ছে ও কোথাও কমছে। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের কর্ম ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, বর্তমানে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তার জন্য যে অর্থায়ন প্রয়োজন তা কে দিবে? বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের সপ্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দাবিদার দেশটি আমাদের নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই আমরা বসবাস করি না কেন ধনী দেশগুলো যদি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে ক্ষতিপূরণ না দেয় তা হলে কোন লাভ হবে না। এ জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রবাহের বিপ্লব যেখানে বাংলাদেশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
তারা বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন নয়, বরং জলবায়ু বিপর্যয় এর যুগে বসবাস করছি। চীনের পর ২য় সর্বোচ্চ সংখ্যক জলবায়ু উদ্বাস্তু বাংলাদেশে রয়েছে। এতটুকু আয়তনের ব-দ্বীপের ২৫% বিলীন হয়ে গেলে, সেই অসহায় মানুষদের কী হবে! জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব বাংলাদেশের উপর সবচেয়ে বেশি তাই আমাদের এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।