গত ৪বারের চ্যাম্পিয়ান কুমিল্লা ভিক্টরিয়্যান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতলো ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।
ফরচুন বরিশাল টসে হেরে কুমিল্লা প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৪ রান তুলে। জবাবে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান করে তামিমের বরিশাল।
এক যুগ ধরে লালন করা স্বপ্ন অবশেষে বাস্তব হলো ফরচুন বরিশালের। এ যেন এক রূপকথার গল্প। রোমাঞ্চকর বিপিএলগল্পের সব পর্বকে ছাড়িয়ে অন্যরকম এক পর্বের বাস্তব রূপায়ণই যেন দেখালো তামিম ইকবালের বরিশাল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মতো শক্তিশালী দলকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জেতার স্বাদ, এ যেন অন্যরকম অনুভূতি বরিশালের। বিপিএলে এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি শিরোপা। অবশেষে বরিশালের সেই হাহাকারের আনন্দময় সমাপ্তি হলো তামিমের হাত ধরে।
দারুণ এই জয়ে স্বপ্নপূরণ হয়েছে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহর মতো তারকাদের। এক যুগ ধরে শিরোপা ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষার করছিলেন বাংলাদেশের এই বড় দুই তারকা। আজ শেরেবাংলা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ হলো তাদের সেই অপেক্ষার প্রহর।
ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে হলেও অন্তত একবারের জন্য শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পেরেছেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ তো ব্যাট হাতে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন। যে কারণে, বিপিএলে নিয়ে আর কোনো আফসোস হয়তো থাকবে না এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের।
কুমিল্লার দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে ৬ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে বরিশাল। পুরো ম্যাচেই ছিল দাপট। শেষে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই মাহেন্দ্রক্ষণের অবতারণা ঘটালো বরিশাল। তামিমের দলের হাতে তখনও বাকি ছিল আরও এক ওভার।
১২০ বলে ১৫৫ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে কাইল মায়ার্স ও তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। মায়ার্স ৩০ বলে ৫টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রান করেন। ২৬ বলে তিন চার আর তিন ছক্কায় ৩৯ রান করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৮ বলে ১৩ রান করে ফেরেন মুশফিকুর রিহম।
তামিম-মায়ার্স-মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ডেভিড মিলার ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।