প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:৩৩ পিএম আপডেট: ২৩.০২.২০২৪ ৫:৪৭ পিএম (ভিজিটর : ৮৬০)
দারুণ বোলিংয়ে কুমিল্লাকে নাগালে রেখে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাইজুল-সাইফউদ্দিনরা। রান তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৩ ছক্কা ও ছয় চারের মারে সাজানো ইনিংসে ৪৮ বলে ৬৬ রান করেন টাইগার এই ওপেনার। জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ, হারলেও টিকে থাকবে আশা—এমন সমীকরণের ম্যাচে তামিমের ব্যাটে ভর করে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের এই জয়ে প্লে-অফের হিসেবনিকেশ থেকে ছিটকে গেল খুলনা টাইগার্স। এর মধ্য দিয়ে কাগজে-কলমে আশা টিকে থাকা খুলনা টাইগার্সের এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। আজ দিনের পরের ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি কার্যত নিয়মরক্ষায় রূপ নিলো।
হোম অব ক্রিকেট' খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে সাবধানে শুরু করেন সুনীল নারাইন। খোলস ছেড়ে বের হওয়ার আগেই ১৮ বলে ১৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। থিতু হতে পারেননি লিটন দাসও। ১২ বলে বলের সমান সংখ্যক ১২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ৬ বলে ১ রান করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও সাজঘরে ফিরলে ৪০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা।
চাপের মুখে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয় ও মঈন আলী। তবে মারকুটে হওয়ার আগেই দুজনই বিদায় নেন কাছাকাছি সময়ে। হৃদয় ২৬ বলে ২৫ ও মঈন ২২ বলে ২৩ রান করেন। আন্দ্রে রাসেল ১১ বলে ১৪ ও ম্যাথু ফোর্ড গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন জাকের আলী অনিক। মাত্র ১৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ৭ নম্বরে নামা আলোচিত এই ব্যাটার। তার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান জড়ো করে কুমিল্লা। বরিশালের পক্ষে তাইজুল ইসলাম তিনটি এবং ওবেদ ম্যাকয় ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আহমেদ শেহজাদকে হারিয়ে ফেলে বরিশাল। তবে দ্বিতীয় উইকেটে কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে ৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তামিম। ২৫ বলে ২৫ রান করে মেয়ার্স বিদায় নিলে মুশফিকুর রহিম চালিয়ে যান সাবধানী ব্যাটিং। ২৪ বলে গড়া মুশফিকের ২৭ রানের ইনিংসের ফাঁকে তামিম তুলে নেন অর্ধশতক।
মুশফিকের পর দলীয় ১২২ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৮ বল মোকাবেলা করে ৬৬ রান করেন তামিম, হাঁকান ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১২ ০ সৌম্য সরকারের ৬ রানের দুই অপরাজিত ইনিংসে ৬ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।