ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ই-পেপার শনিবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্রেকিং নিউজ: খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ মার্চ       ‘১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে ইসির অনুমতি নিতে হবে’       গোপালগঞ্জে ভাবীর লাঠির আঘাত দেবর নিহত      বাগেরহাটে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ২      গাংনীতে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ২, ফেন্সিডিল উদ্ধার      সৌদিতে বয়লার বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিহত      




বিলুপ্তির পথে হাতে বোনা খেজুর পাটি
শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
Published : Friday, 10 November, 2023 at 2:48 PM
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে বিলুপ্তির পথে। উপজেলায় এক সময় বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে খেজুর পাটির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সময়ের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছের পাতা দিয়ে হাতে বোনা খেজুর পাটি।

জানা গেছে, ৮০-৯০ এর দশকে খেজুর পাটি উপজেলার পল্লী গ্রামে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করা হতো। খেজুর পাটিতে ধান, গম, কলাই, মুসুরি, ধনিয়াসহ বিভিন্ন ফসল শুকানোর কাজ করতো অনেকে। কালের যাঁতাকলে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর পাটি।


মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য উপকরণ ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটির স্থান দখল করে নিয়েছে আধুনিক শীতলপাটি, নলপাটি, পেপসি পাটি, চট-কার্পেট, মোটা পলিথিনসহ বিভিন্ন ধরণের উপকরণ। এই উপকরণগুলো সহজেই বাজারে পাওয়া যাওয়ায় মানুষ খেজুর পাটির পরিবর্তে এসব আধুনিক উপকরণ ব্যবহারে দিন দিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে চাহিদা কমার পাশাপাশি হারিয়ে গেছে খেজুর পাটির কদর।

খেজুর পাটি বুনন ও চাহিদা কমে গেলেও উপজেলার কিছু কিছু গ্রামাঞ্চলের নারীরা আজও অবসর সময়ে খেজুর পাটি বুনন কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। তবে এর সংখ্যা একেবারেই নগন্য। অল্প সংখ্যক মানুষ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটিকে তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে এখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। 

উপজেলার উপজেলার হাতেমপুর গ্রামের গৃহবধু নার্গিস, মনোয়ারা, নুরজাহান সহ একাধিক গৃহবধূ জানান, আগেরকার দিনে খেজুর গাছ ও পাতা পাওয়া যেত। সকালে-বিকালে গৃহস্থালির কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাড়ির মেয়ে ও ঝিঁ-বউরা খেজুরের পাটি বুনতো আর নানা গল্প গুজব করত।কেউ বানাত চিকন পাটি, কেউ বানাতো মোটা পাটি, কেউ বা দুটোই বানাত। চিকন পাটি এবং মোটা পাটি একই পদ্ধতিতে বানানো হয়ে থাকে। সেই পাটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হতো। একসময় গ্রামের প্রায় বাড়িতে বিকাল হলে বাড়ির গৃহবধূদের খেজুরের পাটি বুনতে দেখা যেত।  এখন আর এ দৃশ্য চোখে পড়ে না।

এখন এর আর কিছুই নেই। আধুনিক যুগ তাই সব কিছু আধুনিক হয়ে গেছে। টাকা হলে আধুনিক সবকিছুই রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়। এ কারণে বাড়ির গৃহবধূরা আর পরিশ্রম করতে চায়না। সবকিছু পরিবর্তনের সাথে সাথে খেজুরের পাটি বুনন করাও বন্ধ হয়ে গেছে। বলা যায়,এখন এর ঐতিহ্য গ্রাম-বাংলা থেকে অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মোক্তার আহমেদ মৃধা জানান, আগেরকার দিনে গ্রামাঞ্চলে খেজুরের শুকনো পাতা দিয়ে পাটি তৈরি করা হতো। প্রায় বাড়িতে এ পাটি দেখা যেত। এখন এ পাটির বদলে দখল করেছে প্লাস্টিকের পাটি, পলিথিনসহ আধুনিক বস্তু ও জিনিসপত্র। তাছাড়া খেজুর গাছের সংখ্যাও অনেক হ্রাস পেয়েছে। তাই এখন আমাদের মাঝ থেকে খেজুরের পাটিও প্রায় বিলুপ্তির পথে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, এ উপজেলায় বেশ কয়েকগুণ হারে খেজুর গাছের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। দিন দিন কমছে খেজুর গাছের সংখ্যা। খেজুর গাছের সংখ্যা কমার কারণে খেজুর গাছের পাতা দিয়ে তৈরি খেজুরের পাটিও বিলুপ্তির পথে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, সেমিনারে, খেজুর গাছ রোপণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ গাছ রোপণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ প্রচারণা করা হয়ে থাকে।







সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]