ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
ই-পেপার শনিবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্রেকিং নিউজ: খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ মার্চ       ‘১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে ইসির অনুমতি নিতে হবে’       গোপালগঞ্জে ভাবীর লাঠির আঘাত দেবর নিহত      বাগেরহাটে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ২      গাংনীতে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ২, ফেন্সিডিল উদ্ধার      সৌদিতে বয়লার বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিহত      




‘এমনটি দেখেছিলাম ৭১ সালে, দুঃখের বিষয় এখন সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে’
স্টাফ রিপোর্টার
Published : Tuesday, 21 November, 2023 at 12:03 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না, একজন মানুষ কীভাবে আরেকটা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এমনটি দেখেছিলাম ৭১ সালে, তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বস্তিতে আগুন দিতো। আর মানুষ বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারত। দুঃখের বিষয় এরপর ২০১৩-১৪ সালে এবং এখন ইদানিং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। পোড়া মানুষগুলোর ক্ষত-বিক্ষত দেহ এবং তাদের আত্মচিৎকার ও পরিবারগুলো কি অবস্থাটায় আছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি চাই তাদের (অগ্নিসন্ত্রাসী) চেতনা হোক যে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তির দরকার হয়, তাদের পাশে থাকতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে, তাদের পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না- অন্তত এই বিষয়টা যেন যারা এগুলো করছে তারা বুঝতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লাখো বাঙালি স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই স্লোগানটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, সেই ভাষণটাও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজকে সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। আড়াই হাজার বছরে সামরিক-অসামরিক নেতারা যত ভাষণ দিয়েছে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটুকু আমরা করতে পেরেছি।

‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত করা, যেখানে গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা, স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মিউজিয়াম হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরত্বের ইতিহাস জানা দরকার। স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। কিন্তু একসময় সেটা পারিনি। আগে বিদেশে যেতে হলে করাচিতে গিয়ে ভিসা নিতে হতো। আর এখন আমাদের স্বাধীন দেশে, আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি।

এর আগে সকালে ঢাকা সেনানিবাসস্থ শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা। এর আগে দিবসটিকে ঘিরে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।







সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]