হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ৬ নং বুল্লা ইউনিয়ন যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবহেলিত। এ ইউনিয়নের মানুষ বোর ধানের উপর নির্ভরশীল। এ ইউনিয়নে রয়েছে ছোট বড় ২৬ টি গ্রাম। লোকড়া- মাদনা সড়কটি খবুই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও যাত্রীদের একমাত্র চলাচলের জন্য এই সড়ক। খোঁজ নিয়ে জানা যায় লোকড়া-মাদনা সড়কটি হবিগঞ্জ সদরের সাথে সংযুক্ত সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবিকা ও চিকিৎসার তাগিদে হবিগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র এই সড়ক দিয়ে যানচলাচল করতে হচ্ছে।
জানা যায় গত ২০০৫ সালে কেয়ারের অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মিত হয়েছিল সাবমার্জিবুল সড়ক হিসেবে। বছরে ৬ মাস নৌকা যোগে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ওই ইউনিয়নবাসীর। বাকি ৬ মাস ১৯টি গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয় বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু বর্তমানে ওই সড়কের যে অবস্থা যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা কবলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় শতাধিক স্থানে ১ ফুট থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গর্ত। বৃষ্টি হলেই ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায় ফলে বিভিন্ন সময় যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হোসাইন আহমেদ শিপন, সৌরভ আহমেদ, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজু সহ অনেকের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, লোকড়া-মাদনা সড়ক বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
যানচলাচল তো দূরের কথা জন চলাচল করাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত যানচলাচল ও জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ওই সড়কটি। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে বুল্লা ইউনিয়নের ১৯ টি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা ওই সড়কটি। এ ছাড়াও ওই সড়কটি দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার লোকজন হবিগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র এই সড়ক। ইমার্জেন্সি কোন রোগীর সমস্যা দেখা দিলে জরুরী ভিত্তিতে নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেন এ বিষয়ে লাখাই উপজেলার প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেন তিনি এ সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এহতেশামুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সিলেট সড়ক বিভাগের মাধ্যমে লোকড়া-মাদনা সড়কটি পূনঃ মেরামতের জন্য আলোচনা চলছে অচিরেই ওই সড়কটি পূনঃ মেরামত করার জন্য বরাদ্দ আসলেই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করব। লোকড়া-মাদনা সড়কটি আডুবা সড়ক সহ পূনঃ মেরামত করার জন্য বুল্লা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।