বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনও রাজনৈতিক দল থাকবে না। এটা নিষিদ্ধ করা না করার বিষয় নয়। তাদের ভুলের রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সমর্থন করবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ফিরে আসার কোনও সুযোগ নাই।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সারা দেশের বিভিন্ন স্তরে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দ্রæত সৃষ্টির দাবিতে’ প্রতীকী তারুণ্য সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন।সংগঠনের সভাপতি কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, রহিমা শিকদার প্রমুখ।
সমাবেশে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে যদি কোনও রাজনৈতিক দল অবস্থান নেয়, সেই দল বিলুপ্ত হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ভুল রাজনীতি করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, লুটপাট করেছে, জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। তিনি বলেন, অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ২০২৬ সালে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা একতরফা হবে কিনা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মুসলিম লীগের ভুল রাজনীতির কারণে তাদের রাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে গেলো।
রাজনীতি যদি ভুল হয়, জনগণের বিরুদ্ধে যদি কোনও রাজনৈতিক দল অবস্থান নেয়, সেই দল বিলুপ্ত হয়ে যায়। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের ২০১৪, ২০১৮ ও ২৪ সালে যে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে আমলাতন্ত্র, ডিসি, এসপি, ইউএনওরা দিনের ভোট রাতে করতে সহায়তা করেছে, এখনও তারা প্রশাসনের বিভিন্ন বড় বড় পদে বসে আছে। তারা অনেকেই প্রমোশনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। আগে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।