
রাজধানীতে রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান আহত হওয়ার ঘটনায় রাইদা পরিবহনের চারটি বাস আটক করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে রাইদা পরিবহনের দুটি বাস এবং ৩ টায় দয়াগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে থেকে আরও দুটি বাস আটক করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বাস চারটি কলেজের মূল ফটকের সামনে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে ধোলাইপাড় এলাকা থেকে পোস্তগোলা হয়ে নদীর ওপারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন জাহিদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী। গন্তব্যে পৌঁছে ভাড়া দেওয়ার সময় কন্ডাক্টর বৈধ ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ দাবি করলে তা নিয়ে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
এরপর বাস থেকে নামার সময় জাহিদ হাসান এক পা নামাতেই চালক ইচ্ছাকৃতভাবে বাসটি টেনে দিলে তিনি ছিটকে পড়ে যান। পরে তিনি উঠে বাসে হাত রাখলে চালক কাঁচের গ্লাস দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এতে তার হাত গুরুতরভাবে জখম হয় এবং কেটে যায় । পরে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ধোলাইপাড় এলাকা থেকে টিউশনি করতে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে চড়ে নদীর ওপারে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বৈধ ভাড়ার তুলনায় দ্বিগুণ ভাড়া চাইলে কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। বাস থেকে নামার সময় চালক ইচ্ছাকৃতভাবে বাস টেনে দিয়ে আমাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি উঠে বাসে হাত রাখলে চালক কাঁচের গ্লাস দিয়ে আমাকে আঘাত করে।
ইউসুফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা রাইদা পরিবহনের মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আসতে চেয়েছেন। আমাদের দাবি হলো—আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে তারা যেন নিশ্চিত করে যে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।
আটককৃত বাসের একজন চালক বলেন, আমাদের দোষ নেই আপনারা মালিক পক্ষের সাহায্য তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিন।