প্রকাশ: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪:০০ পিএম (ভিজিটর : ৬০)

ইন্দুরকানীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্পের কাজ শুরু করে ফেলে রাখা হয়েছে । এর মধ্যে রাস্তা, গার্ডারব্রিজ, সাইক্লোনশেন্টার, ড্রেন নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ । জুন-২৫ শেষ হলেও এসব প্রকল্পের বেশীর ভাগ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদাররা পলাতক আছে। অফিসের সহায়তায় কাজের অধিকাংশ টাকা তুলে নিয়েছে। এই কাজগুলোর বেশিরভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হলেন পিরোজপুর ২ আসনের এমপি মহিউদ্দন মহারাজ, তার ভাই ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন । তাদের বিরুদ্ধে কাজ শেষ করার আগেই বিভিন্ন কাজের অধিকাংশ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ৫ আগষ্ট সরকার পটপরিবর্তনের পরে তারা নিরুদ্দেশ হযে পড়েনে । ফলে উপজেলার সকল কাজ গুলো বন্ধ হয়ে গেছে । কাজ গুলো না করায় চরম ভোগান্তির শিকার হছেছ সাধারন মানুষ । এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তরের জানালে তার কোন সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না।জানা যায় বিগত ৫ বছর আগে ইন্দুরকানী সদর বাজার উন্নয়নের টেন্ডার হলে ও এখন পয়র্ন্ত ১৫% কাজ সম্পূর্ন হয় নাই। অসম্পূর্ণ কাজগুলোও ফেলে রাখা হয়েছে।এছাড়া বৃহস্পতিবার সরে জমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে সাঈদখালী ২কি. মি., মধ্য কালাইয়া রোড থেকে সরদারবড়ী পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, পত্তাশী ইউপি থেকে খেজুরতলা হাট পর্যন্ত ১কিমি, চালনা ব্রীজ থেকে বৌডুবি পর্যন্ত ১.৫ কিমি, বালিপাড়া জোমাদ্দার হাট থেকে কাপালিবাড়ী পর্যন্ত ১ কিমি, চন্ডিপুর স্টীল ব্রীজ থেকে খোলপটুয়া পর্যন্ত ১.৫ কিমি, বালিপাড়া হাইস্কুল থেকে সোবাহান চেয়ারম্যান এর বাড়ী পর্যন্ত ১ কিমি, পাড়েরহাট বাসস্টান্ড থেকে হোগলাবুনিয়া ১ কিমি, চাড়াখালী কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত ১ কিমি. রাস্তার নির্মান কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছে। নাই তাদের তদারকির কোন প্রতিনিধিও। কাজ ফেলে রাখার কারণে এই সকল রাস্তা সংলগ্ন ব্রীজ ও কালভার্ড এর কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফলে উপজেলা সদর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। বর্ষার মৌসুমে রাস্তাগুলোতে পানি জমাট হয়ে চলাচলে অনুপোযোগী। অফিস সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তা গুলোর অধিকাংশ টেন্ডারই ইএফটি-ইটিসিএল সরদার এন্টার প্রাইজ ও ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্স নিয়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে ঠিকাদারও এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। এছাড়াও ইএফটি-ইটিসিএল এর লাইসেন্সে ৮টি কার্পেটিং রাস্তার কাজ ২০১৯ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও রাস্তাগুলো পরিত্যক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানান, ইএফটি-ইটিসিএল প্রতিষ্ঠানের সহ প্রায় ২৫ কাজ বাকি রয়েছে । তবে কিছু প্রকল্পরে কাজের টাকা উত্তোলন করা হয়। পরিত্যক্ত রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য সাফ- ঠিকাদারদের সাথে আমরা যোগাগের চেষ্টা করছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও জানানো হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।