দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জরুরি সংস্কার কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কাক্সিক্ষত সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর পুরোজাতি নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠবে।
গতকাল মিরপুর-১৩ এর ৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জনগণ যাতে পছন্দমত তাদের নেতা নির্বাচনের সুযোগ পায় উল্লেখ করে তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ ও আল্লাহর জমীনে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় আসন্ন নির্বাচনে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহবান জানান।
দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমূখ।
জনগণের আকাঙ্খা বুঝে মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে নির্বাচন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, একক কোন দলের প্রতি আনুগত্যশীল না হয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহন মূলক নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
গতকাল ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের গেন্ডারিয়া-ওয়ারী জোনের থানা ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ড. মাসুদ বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গণতন্ত্রকামী সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া।