ইলিনয় অঙ্গরাজ্য ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ অভিবাসীদের ওপর ২.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে চলেছে, যার বেশিরভাগই যাবে স্বাস্থ্যসেবায়-এমনটাই জানিয়েছে নতুন এক রিপোর্ট।
রাজ্যের নীতিনির্ধারণ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইলিনয় পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউট সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অভিবাসীদের সহায়তা দিতে গিয়ে রাজ্যের খরচ কীভাবে বেড়েছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট ২.৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে করদাতাদের অর্থ ব্যয় হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, “মাইগ্রেন্ট ওয়েলকাম সেন্টার”, আবাসন, জরুরি খাদ্য, পুনর্বাসন সেবা ও ভাড়ার সহায়তা প্রদানের মতো ক্ষেত্রে। "ওয়েলকামিং উইথ ডিজনিটি" উদ্যোগের আওতায় ২০২৩ সাল থেকে অভিবাসীদের জন্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অডিটর জেনারেলের অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দুটি কর্মসূচিতে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। এর মধ্যে একটি হলো অভিবাসী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা, যা ৪২ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের জন্য চালু ছিল। তবে বাজেট ঘাটতির কারণে এটি ১ জুলাই বন্ধ হয়ে গেছে। সিনিয়র নাগরিকদের জন্য পরিচালিত অন্য কর্মসূচি চলমান থাকবে।
প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, সিনিয়র কর্মসূচির খরচ হবে ২২৪ মিলিয়ন ডলার, কিন্তু বাস্তবে তা ছিল ৪১২.৩ মিলিয়ন ডলার-যা পূর্বানুমানের চেয়ে ৮৪ শতাংশ বেশি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শুধু ২০২৩ সালেই অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবায় খরচ করা হয়েছে অনুমিত ব্যয়ের চেয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বেশি—এই অর্থ দিয়ে চাইলে ইলিনয়ের পুরো গৃহহীন জনগোষ্ঠীকে এক বছর ধরে আশ্রয় দেওয়া যেত।
এই রিপোর্ট এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গভর্নর জে.বি. প্রিৎসকার সম্প্রতি কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, “আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি, কীভাবে রাজ্যগুলো ভাঙাচোরা অভিবাসন নীতির ফল ভোগ করছে। আমরা ইলিনয়ে মানবিক সংকটের মুখে পরিবার ও শিশুদের না খাইয়ে বা শীতে জমে মরতে না দিয়ে সহানুভূতিশীল পথে এগিয়েছি।”
তিনি বলেন, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট যেসব অভিবাসীদের বাসে করে ইলিনয়ে পাঠিয়েছেন, সেগুলোর অনেকেই শিকাগোতে পৌঁছেছে।
ইতোমধ্যে দক্ষিণ সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় ৫১,০০০ অবৈধ অভিবাসী শিকাগোতে এসেছেন, যাদের বেশিরভাগই পাঠানো হয়েছে টেক্সাস থেকে। শিকাগো শহরের কর্মকর্তারা ফক্স নিউজ ডিজিটাল-এর মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। গভর্নর প্রিৎসকারের কার্যালয় থেকেও রিপোর্ট নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।