আজি এ প্রভাতে রবির কর/ কেমনে পশিল প্রাণের পর /কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান /না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ /জাগিয়া উঠেছে প্রাণ /ওরে উথলি উঠেছে বারি / ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি। এমনি প্রাণের আকুতি উচ্ছ্বসিত আবেগে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে। ‘বিরাশিয়ান মানিকগজ্ঞ’ এর ঈদ পুনর্মিলনীর বর্ণাঢ্য আয়োজনে।
মূলত ১৯৮২ সালে এসএসসি পাস করা মানিকগঞ্জের গুণী মানুষের মিলনমেলা ছিল এটি। ৮ জুন রোববার সকাল এগারোটা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে পাঁচটা অবধি চলে এ মিলনমেলা। চিকিৎসক, অধ্যাপক, শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার ৭৪ জন বিরাশিয়ান এতে অংশগ্রহণ করেন। পরিচিতিপর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ স্মৃতিচারণ, প্রীতিভোজ ও সঙ্গীনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অরাজনৈতিক ‘বিরাশিয়ান মানিকগঞ্জ’ সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আনন্দ আয়োজনের পাশাপাশি আগামীতে মানবিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
অধ্যাপক টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামান। এসময় উপস্থিতিদের মধ্য থেকে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন : অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামান-আহ্বায়ক, অধ্যাপক টিপু সুলতান – সদস্য সচিব এবং ডা. আবু মো. শফিক, অমরেশ মণ্ডল, ফারুক আহমেদ ফিলিপ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম খান চপল, বিলকিস আক্তার রুনু, অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার সাহা, পিযুষ কান্তি দে ও মো. নূরুল ইসলাম সদস্য নির্বাচিত হন।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক তরিকুল উসলাম, লেখক ও সাংবাদিক আবদুর রহমান মল্লিক, মো. আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন, অ্যাডভোকেট হাসান সাঈদ, নির্মল কুমার, আবদুল মজিদ, মোহসিনা হ্যাপি, কবিতা রানি প্রমুখ।