যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ছাড় এবং ব্যয়ের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রণীত মেগা বিলের তীব্র সমালোচনা করে এটিকে একটি 'জঘন্য বিকৃতি' বলে অভিহিত করেছেন অতিধনী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্ক।
মঙ্গলবার নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লেখেন মাস্ক লিখে 'দুঃখিত, কিন্তু আমি আর সহ্য করতে পারছি না। এই বিশাল, গর্হিত, পদের ঠাসা কংগ্রেসনাল ব্যয় বিল একটি জঘন্য বিকৃতি'।
তিনি আরও লেখেন, 'যারা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, লজ্জা থাকা উচিত। তোমরা জানো, তোমরা ভুল করেছো।'
আইনটি, যার আনুষ্ঠানিক নাম 'ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল,' ২০১৭ সালের ট্রাম্প-যুগের করছাড় অব্যাহত রাখে এবং সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে, কিন্তু মেডিকেইড ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির মতো সামাজিক নিরাপত্তা জালের খাতে ব্যয় কাটছাঁট করে। বিলটি গত মাসে হাউসে পাস হয়েছে এবং বর্তমানে সিনেটে বিবেচনায় রয়েছে, যেখানে এতে কিছু সংশোধনী আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাস্কের এই মন্তব্য আসে যখন রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন (আর-লা.)-সহ শীর্ষ নেতারা মাস্কের এক সাক্ষাৎকারে করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান। সেখানে মাস্ক বলেছিলেন, বিলটি সরকার দক্ষতা বিভাগ (ডোজ)-এর কাজকে 'হীনমন্য করে' দিচ্ছে।
জনসন পরে ফক্স নিউজ ও এনবিসি নিউজ-এ জানান, তিনি মাস্ককে বিলটির বিভিন্ন ধারা ব্যাখ্যা করে একটি 'দীর্ঘ টেক্সট' পাঠিয়েছেন। এই বিলটি ঐতিহ্যবাহী বাজেট বিল নয়, বরং একটি 'সমন্বয় প্রক্রিয়া' মাধ্যমে পাস হতে পারে, যা সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের ফিলিবাস্টার এড়াতে সক্ষম।
জনসন আরও জানিয়েছেন, ইউএসএইড এবং পাবলিক ব্রডকাস্টিং-এ ডোজ কর্তৃক প্রস্তাবিত ৯.৪ বিলিয়ন বাজেট কাটছাঁটকে আইনে রূপ দিতে তিনি দ্রুত একটি প্যাকেজ আনছেন, যা হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার সিনেটে পাঠাচ্ছে।
তবে মাস্ক তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। একটি অনুস্মারক পোস্টে তিনি বলেন, 'এটি ইতোমধ্যেই বিশাল বাজেট ঘাটতিকে বাড়িয়ে ২.৫ ট্রিলিয়নে নিয়ে যাবে এবং আমেরিকান নাগরিকদের ওপর অসম্ভব ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেবে।'
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস বুধবার বিলটির সর্বশেষ সংস্করণের জন্য আনুমানিক ব্যয় পূর্বাভাস প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট মাস্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'এই বিল নিয়ে এলন মাস্ক কী ভাবেন, প্রেসিডেন্ট তা জানেন। এতে প্রেসিডেন্টের মতামতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।' গত সপ্তাহে মাস্ক সরকারে তাঁর বিশেষ ডোজ উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ান।