নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানোয়ারুল ইসলাম (২৬) নামে মামলা হয়েছে।
মোহনগঞ্জ পৌরসভার শিশু পার্কের আশপাশ থেকে আটক হওয়ার পর বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা ব্যর্থ হয় । পরে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে পলাতক রয়েছেন অভিযু্ক্ত শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষক সানোয়ারুল উপজেলার কয়রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নয় মাস আগে করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. আমিনুল ইসলাম মামলার বিষয়ে সত্যটা স্বীকার করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড় উঠে শিক্ষক সানোয়ারুলের। বিষয়টি শারিরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। সপ্তাহ খানেক আগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে মোহনগঞ্জ শহরের শিশুপার্ক এলাকায় শেষ বারের মত ঘুরতে আসেন তিনি। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন তাদের আটক করে। পরে একটি প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সাপেক্ষে একপর্যায়ে তারা ছাড়া পান।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়ের বড় বোন মোহনগঞ্জ আসার পর সানোয়ারুলকে বিয়ের চাপ দেয় ওই ছাত্রী। কিন্তু সানোয়ারুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। আরো কয়েকবার ওই মেয়েকে নিয়ে শিক্ষক মোহনগঞ্জে বেড়াতে আসে ।
আটক হওয়ার পর বিয়ে না করে মীমাংসার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে সানোয়ারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। তার বড় ভাই মনোয়ারকে মোবাইল করলে তিনি বলেন , আমি কিছু জানি না আমার ছোট ভাইয়ের বিষয় । তদন্ত করে ১৮ মে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ। তবে মামলার পরপরই অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান সানোয়ারুল।
করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে ১৯ মে থেকে স্কুলে আসেননি সানোয়ারুল। শিক্ষা অফিসে কল করে জানতে পারি তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে ৩১ মে পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ছুটি নিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সানোয়ারুল।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একাধিকবার ধর্ষণের তথ্য প্রমাণসহ মামলা দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী। মামলার পর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।