রাজধানীর ভাটারা থানায় হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী ফারান মো. আরাফ জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, আদালত ন্যায়বিচার করেছ। দেশের একজন নিরপরাধ ব্যক্তি, যে দেশেই ছিল না, তাকে গ্রেপ্তার করাটা যুক্তিযুক্ত ছিল না।
অপর আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, আপনারা জানেন একটি আলোচিত মামলায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গতকাল জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। তারপরে আমাদেরকে ২২ তারিখ ধার্য তারিখ দেওয়া ছিল। আজকে পুলিশ দৃঢ়তার সহিত এবং দ্রুততার সহিত পুলিশ প্রতিবেদন আদালতে জমাদান করেছেন। এবং তারই প্রেক্ষিতে আমরা আজকে স্পেশাল পুটআপ দিয়ে বিজ্ঞ সিএমএম ১ আদালতে জামিন চেয়ে শুনানি করা হয়।
যেহেতু উনি দেশের বাইরে ছিলেন, আপনারা জানেন জুলাইয়ের ৯ তারিখ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত উনি কানাডা অবস্থান করছিলেন। সেই মর্মে সন্তুষ্ট হয়ে বিজ্ঞ আদালত আজকে উনার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ জামিনটা দেওয়া হয়েছে এ মামলার সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পুলিশ যতদিন দাখিল না করবেন ততদিন পর্যন্ত জামিন রয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৮ মে) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ভাটারা থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়ে। পরদিন সোমবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক বিল্লাল ভূঁইয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি করেছেন এনামুল হক। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয় অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।