পুরনো সামাজিক কাঠামো ভেঙে দিয়ে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে একটা নতুন সমাজ নির্মাণই এখন ‘সবচেয়ে বড় সংস্কার’ বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষেতমজুর সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ বামনেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
তিনি বলেছেন, সমাজের পুরনো ব্যবস্থাকে চুরমার করে, একটা বিপ্লবী পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে একটা নতুন সমাজ নির্মাণ করতে চাই। এর চেয়ে বড় সংস্কার আর কি আছে? সেই সংস্কারের স্বার্থে জনগণকে যদি অংশীদার করতে চাই, তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির একাদশ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন শিক্ষক আন্দোলনের নেতা নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ক্ষেতমজুর নেতা মোতালেব হোসেন, অর্ণব সরকার প্রমুখ।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রকৃত সংস্কারে জনগণকে অংশগ্রহণকারী করতে হলে তার কাছে রাজনীতির কথা নিয়ে যেতে হবে। তাকে সংস্কারের অংশীদার ও কারিগর করতে হবে। এদিকে না তাকিয়ে কাগজে-কলমে কিছু সংস্কার করবে যারা, তারা আসলে সংস্কারে বিশ্বাস করে না। তারা বালুর ওপরে ঘর বানাতে চায়। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার করা অপরিহার্য, সেই সংস্কারগুলো দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করে জনগণকে দ্রুত নির্বাচনের প্রক্রিয়ার ভেতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আজ আপনারা তর্ক করছেন জাতীয় সংগীত গাওয়া নিয়ে, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা নিয়ে। আপনি প্রশ্ন করছেন নতুন সংবিধান রচনা করা হবে কি না। আপনারা স্লোগান দিচ্ছেন গোলাম আযমের এ দেশে উদীচীর ঠাঁই নাই, বামপন্থিদের ঠাঁই নাই। সেগুলো আবার অ্যালাউ করছেন আপনারা। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে শ্রমিক-মেহনতি মানুষ আরো বড় অভ্যুত্থান ঘটাতে পারে সরকারকে হুঁশিয়ার করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সেলিম।