বিদ্যুৎ সংকট ও উন্নয়নে জোয়ার-ভাটা ও পাথরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন আলীউজ্জামান তালুকদার (মানিক) নামের এক ব্যক্তি। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন তার বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ প্রতি ইউনিট ২/-টাকা যা তিনি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে সক্ষম।
তিনি জানান, জোয়ার-ভাটার পানির উঠানামা যত বেশি হবে তত বেশি মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে নদীতে জোয়ার এবং ভাটার পানির উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ ফুট এ উঠানামা করে সেখানে তার আবিষ্কৃত পদ্ধতিতে ‘টারবাইন’ এর সাহায্যে ৫ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
নদীর গতি আঁকাবাঁকার জন্য এক পাশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। নদীর এক পাশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থাকলেও অপর দিক দিয়ে নৌযান চলাচলে কোনো বাঁধার সৃষ্টি হয় না।
তিনি আরও জানান, পাথরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করা হবে। এ প্রজেক্ট বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে কম খরচে স্থাপন করা সম্ভব। তার আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ প্রজেক্ট থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব যার জন্য মাত্র পাঁচ কোটি টাকা অর্থ সহায়তার প্রয়োজন হবে। এর জন্য সময় লাগবে তিন মাস।
তিনি বিশ গুণ শক্তি সম্পন্ন ট্রাক্টর আবিষ্কারের ফরমুলা আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। আলীমুজ্জামান তালকুদার তার প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন।
বিভিন্ন গবেষণা কর্মে নিয়োজিত আলীমুজ্জামান তালুকদার একজন সাবেক শিক্ষক। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাংলামোটরে একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালটেন্ট। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার দারখী গ্রামে।