ভোলার তজুমদ্দিন সরকারি কলেজে শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের গুঞ্জনে বেশ সরগরম ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রনেতাদের তৎপরতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি তুলেছেন, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের যেন অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের মতে, তজুমদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের আগের কমিটিতে এমন অনেক নেতা রয়েছেন, যারা নিয়মিত শিক্ষার্থী নন বা পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত নন। অপরদিকে বিবাহিতরাও রয়েছেন সেই তালিকায়। এতে ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সমস্যার প্রতিফলন ঘটে না।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষের (না প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই এমন নেতা, যারা আমাদের মতো ক্লাস করে, আমাদের সমস্যাগুলো বোঝে এবং আমাদের স্বার্থে কাজ করে। শুধু পদ দখলের রাজনীতি নয়, সত্যিকার নেতৃত্ব প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের অনেকেই মনে করছেন, ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ভ‚মিকা রাখার জন্য। তবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকে নেতৃত্ব বাছাই করলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
না প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা শুধুমাত্র রাজনীতির উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে আসে, তাদের চেয়ে নিয়মিত ক্লাস করা শিক্ষার্থী অনেক বেশি যোগ্য নেতা হতে পারে। স¤প্রতি কলেজের নতুন কমিটি গঠনে নির্দেশ এসেছে, আর সেই কমিটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মরিয়া অনেক অছাত্র এবং বিবাহিতরা। তবে এই শিক্ষার্থীর দাবি, তারা যদি নেতৃত্বে আসে তাহলে তাদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে।
এদিকে নতুন কমিটির গুঞ্জনে ছাত্রনেতাদের নানা তৎপরতা ও কার্যক্রম ক্যাম্পাসে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। কলেজে ছাত্রনেতাদের নিয়মিত উপস্থিতি ও শিক্ষার্থীদের মনযোগ আকর্ষণ করতে নানা ধরনের কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, এই তৎপরতা যেন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করে। বিগত দিনের হাসিনা সরকারের দোসর ছাত্রলীগের অনুরূপ না হয়ে উঠে।
জানতে চাইলে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি (ভোলা-জেলা নতুন ছাত্রদল কমিটি গঠনে দায়িত্ব প্রাপ্ত) মশিউর রহমান বলেন, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংগঠনের মূলনীতি মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নিদের্শনা মেনেই আগামীদিনে সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পরিবর্তন হবে।
সেখানে যারা আসবেন তারা অবশ্যই কলেজের শিক্ষার্থীই হবেন। শিক্ষার্থীদের দাবি এবং প্রত্যাশা তাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে কি না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। তবে তিনি প্রত্যাশা করেন, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা এবং নবীন কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে।