প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৫:৩৯ পিএম (ভিজিটর : ১২৭)
লিচুর রাজ্য খ্যাত নাটোরের গুরুদাসপুরে আগাম জাতের মোজাফফর লিচু পরিপক্ব না হতেই বেশি মুনাফার লোভে আড়তে আমদানি করছেন চাষিরা। উপজেলার বৃহৎ লিচুর হাট নাজিরপুরের বেড়গঙ্গারামপুর বটতলার আড়তগুলোতে বেপারীদের আগমনে চাষিরা গাছ থেকে লিচু পারতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহৎ ওই লিচুর হাট উদ্বোধনের আগেই চাষিরা বেশি মুনাফার লাভের আশায় অপরিপক্ব টকমিষ্টি লিচু গাছ থেকে পেরে আড়তে আনছেন। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে এ হাটে লিচু বিক্রি করতে আসেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লিচু চাষি। এসময় আড়তে লিচুর দামদর নিয়ে হাকডাকে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
চাষি আব্দুল আলিম, সোহেল রানা বলেন, লিচু গুটি ও পাকার আগে শিলাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আকারে ছোট হওয়ায় ফলনও কম হয়েছে। তাছাড়া বাদুরের অত্যাচার ও ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার ভয়ে লিচু বাজারে তোলা হচ্ছে। বৈশাখের শেষদিকে টকমিষ্টি স্বাদের লিচুর দামও তুলনামুলক ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
আড়তদার মতলেব মেম্বার, আব্দুল মান্নান, জালাল শাহ বলেন, এবার হাটে লিচু বেপারীদের আনাগোনা বেশি। ভালো দামের কারণে চাষিরাও আড়তে লিচু আনতে শুরু করেছে।
লিচু বেপারী ঢাকার জামান মিয়া, বগুড়ার দুলাল সহ কয়েকজন বলেন, বাজারে আগাম জাতের মোজাফফর লিচুর বেশ কদর রয়েছে। এ লিচু ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। এখান থেকে লিচু কিনে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ বলেন, লিচু বাজারে উঠলেও পুরোপুরি মিষ্টি হয়নি। আরো সুস্বাদু ও মিষ্টি হতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এ বছর উপজেলার ৪১০ হেক্টর জমির ৫৭০ টি বাগানে লিচু চাষ হয়েছে। ৩ হাজার ২৮০ মেট্রিকটন লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি কিছুসংখ্যক বাগানের লিচু পাকলেও অধিকাংশ বাগানের লিচু অপরিপক্ব। ডিসি অফিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিচু বিক্রি উদ্বোধন করা হবে।