৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর থাইল্যান্ড গেছেন দুইবারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন বলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। পরে ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তার পরিবার সূত্রে জানা যায় তিনি দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্যই থাইল্যান্ড গেছেন। তার সাথে শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। গতবছরের ৫ আগস্টের পর কিশোরগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করে প্রায় অর্ধশত মামলা হয়।
তবে সেসব কোনো মামলাতেই আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়নি। উল্লেখ্য আবদুল হামিদের নাম থাকা মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
হত্যা মামলার এজাহারে নাম থাকার পরও কিভাবে তিনি বিদেশ গেলেন? এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, হত্যা মামলা থাকলেই যে তাকে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া যাবে না বিষয়টি এরকম নয়। কাউকে গ্রেফতার করতে হলে আদালতের নির্দেশনা লাগবে। তাকে গ্রেপ্তারে বা দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৩৪ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে যাতায়াতে বাধা দেওয়া যাবে না। যদি আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা না থাকে। তার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। কোনো মামলায় তাকে আটক বা গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো আর্জি বা আবেদন ছিল না।