ই-পেপার বাংলা কনভার্টার রবিবার ● ২৫ মে ২০২৫ ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ই-পেপার রবিবার ● ২৫ মে ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




পুরান ঢাকার বিউটি লাচ্ছি : শতবছর ধরে একই স্বাদ
আহমাদ রবি:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম  (ভিজিটর : ২৩১)
গরমে সতেজ রেখে চলেছে শতবর্ষী ‘বিউটি লাচ্ছি’। এটি ঠান্ডা মিষ্টি পানীয়। দই, বরফকুঁচি, গোলমরিচ ও বিট লবণের সমন্বয়ে তৈরি হয় এই পানীয়। শত বছর পেরিয়ে গেলেও যার স্বাদ রয়ে গেছে একই রকম। যার নামের সুখ্যাতি দেশজোড়া। এটি পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজারে জনসন সড়কে অবস্থিত।

জানা যায়, মোগলদের হাত ধরেই এই পানীয়র পরিচয় ঘটে এ উপমহাদেশে। মোগলরা তৃষ্ণা মেটাতে বা অতিথি আপ্যায়নে সুস্বাদু এই পানীয় পরিবেশন করতেন। ১৯২২ সালে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারে বিউটি লাচ্ছির যাত্রা শুরু। শুরুতে শুধু লাচ্ছি আর লেবুর শরবত পাওয়া গেলেও সময়ের ব্যবধানে সেখানে যুক্ত হয়েছে ফালুদা। যুগ যুগ ধরে পুরান ঢাকার মানুষকে ভিন্ন রকম লেবুর শরবত, লাচ্ছি আর ফালুদা খাইয়ে আসছে ছোট্ট এই দোকানটি। বর্তমানে যার নাম ‘বিউটি লাচ্ছি ও  ফালুদা’।

ঐতিহ্যবাহী এই শরবত ও লাচ্ছির সূচনা করেন আবদুল আজিজ, তার হাত ধরেই ব্যবসায় হাল ধরেন আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল গাফফার মিয়া। পুরান ঢাকার স্থানীয় এই বাসিন্দা নিজের হাতে তৈরি করতেন লেবুর শরবত ও লাচ্ছি। আবদুল গাফফার মারা যাওয়ার পর দোকানের দায়িত্ব পান আবদুল গাফফারের ছেলে মো. জাবেদ হোসেন। কথা হয় বিউটি লাচ্ছির বর্তমান কর্ণধার মো. জাবেদ হোসেনের সঙ্গে। 

তিনি বলেন, ‘এই দোকানের লাচ্ছি, লেবুর শরবত সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাতে তৈরি হয়। লাচ্ছি ও শরবতের কারিগররা আমাদের আত্মীয়। দাদার কাছ থেকে শিখেছে বাবা, বর্তমান কারিগররাও শিখেছে বাবার কাছ থেকে।’ জাবেদ হোসেন বলেন, ‘গরমকালে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ গ্লাস লাচ্ছি বিক্রি হয়। আর অন্য সময় ১০০ থেকে ১৫০ গ্লাস বিক্রি হয়।

লাচ্ছি ও ফালুদার জন্য সুবিখ্যাত এই দোকানের নাম শোনেননি, এমন ভোজনরসিক হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে এই দোকানের আরো দুইটি শাখা রয়েছে। তবে জনসন রোডের দোকানটিই প্রথম বা আদি শাখা। পরে কাজী আলাউদ্দিন রোড ও নারিন্দায় তাদের আরো দুইটি শাখা চালু হয়েছে। বর্তমানে কাজী আলাউদ্দিন রোডের দোকানটির দায়িত্বে আছেন জাবেদের ছোট ভাই মানিক হোসেন এবং নারিন্দার দোকানটি দেখছেন বড় ভাই ইকবাল হোসেন।

কারিগররা জানান, লাচ্ছি বা ফালুদা তৈরিতে কোনো ধরনের কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহার করেন না। ফালুদার প্রধান উপকরণ দুধের মালাই, সেটা আসে মানিকের দোকান থেকে। ফালুদা তৈরিতে নুডলস, সাগুদানা, কলা, দুধের মালাই, খোরমা খেজুর, কিশমিশ, আনার, আপেল, চেরি ফল, চিনির শিরা ও মধু ব্যবহার করা হয় বলে জানান। তবে বাজারের কেনা নুডলস নয়, নিজেদের তৈরি করা নুডলস ব্যবহার করেন ফালুদা তৈরিতে। ফালুদা হয় দুই রকমের। নরমাল ফালুদা আর স্পেশাল ফালুদা। নরমাল ফালুদার দাম ১০০ টাকা, স্পেশালের ১২০ টাকা। লাচ্ছি  প্রতি গ্লাস ৫০ টাকা ও লেবুর শরবত ২০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে: 







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]