ই-পেপার বাংলা কনভার্টার শনিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ৬ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার শনিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




কাউখালীতে নদী গর্ভে বিলিন এর পথে আমরাজুড়ী ফেরিঘাট-বাজার
কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম  (ভিজিটর : ৯০)
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলার সন্ধ্যা নদীর নতুন করে ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়েছে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের স্বরূপকাঠী-কাউখালী সড়ক সংযোগকারী ফেরীঘাট বাজার। ইতিমধ্যে বাজারের কমপক্ষে ২০/২৫টি বিভিন্ন প্রকারের দোকান  রাক্ষুসে নদী  সন্ধ্যার মোহনায় বিলীন হয়ে গেছে । বছরখানেক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে কিছু জিও ব্যাগ দেওয়া হলেও স্থায়ী কোন সমাধান না হওয়ায় বর্তমানে ঝড়ের বেগে ভেঙ্গে যাচ্ছে ফেরিঘাট এলাকার সড়ক, বাড়িঘর ও দোকানপাট।

 সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ফলে আরো অনেক দোকান, বাড়িঘর, রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গিয়েছে এবং ঝুঁকিতে রয়েছে । নদী ভাঙনের কারণে বহু বার ফেরিঘাট স্থানান্তর করা হয়েছে।  এই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা যাতায়াতের সহজ মাধ্যম। 

ফেরীঘাট বাজারের এলাকার মহিলা মেম্বার আকলিমা  বেগম জানান ,সন্ধ্যা নদীর সাথে গাবখান চ্যানেল সাথে সংযোগস্থল আমরাজুরী  ফেরীঘাট।গাব  খান চ্যানেল থেকে প্রতিদিন ঢাকা - মোংলা - চিটাগাং বন্দরে নৌপথে  যাতায়াতের জন্য একমাত্র সংক্ষিপ্ত যোগাযোগের চ্যানেল এইটি। এই চ্যানেল দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার ছোট বড় মালবাহী জাহাজ চলাচল করার ফলে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যায়।যার ফলে  এ ভাঙনের মুখে পরে এলাকাবাসী শেষ সম্বল টুকু  হারাচ্ছে। স্থায়ী বাধ নির্মানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙন। করুন দৃষ্টিতে নিজেদের সর্বনাশ দেখছে অসহায় ভুক্তভোগীরা। অবিলম্বে যদি স্থায়ী ও টেকসই বেরিবাঁধ না করা হয় তাহলে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি কাউখালীর অংশ বিলীন হয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা নানা কৌশলে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করলেও নদীর গভীরতা অনেক বেশি হওয়ায় কার্যকারিতা হচ্ছে না।  বর্তমানে ফেরিঘাট বাজারটি খুবই ভয়াবহ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাসী নিজেরা বহুবার নিজেদের চাঁদার মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এলাকাবাসী জানান ,পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বহুবার জানানো সত্বেও তারা জোরালো কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। ইতিমধ্যে ফেরিঘাট জামে মসজিদটি নদীতে ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকার মুসল্লীরা নামাজ পড়তে অনেক দূরে যেতে হচ্ছে।ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, সরজমিনে আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে । 





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]