ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল কতৃক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে মঞ্চ মুখরিত করেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় নেতারা।
গতকাল শনিবার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রাঙ্গনে রাজনৈতিক দলের ব্যানার-ফেস্টুন না থাকলেও কর্মসূচীর সংহতি জানিয়ে একই মঞ্চে মিলিত হয়েছেন বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২ টায় জোহরের নামাজের পরপরই নেতাদের আগমন শুরু হয়।
এসময় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহকে একসাথে হাতে হাত রেখে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যায়। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহর সঞ্চালনায় বিকেল ৩ টা পার হতেই রাজনৈতিক নেতাদের মুল মঞ্চে আমন্ত্রন করা হয়।
এরপর একে একে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম; বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক; গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান; লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ; ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম; এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মুল মঞ্চে উপস্থিত হন।
গণসমাবেশের মূল মঞ্চে উঠতে গিয়ে লক্ষ জনতার ভিড়ে নেতাদের নাস্তানাবুদ অবস্থা হলেও এসময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে ইসরাইলের বর্বর হামলার বিপক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের এবং সর্বশেষ লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে একসাথে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া চেয়ে মোনাজাত করেননেতারা।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ বিভিন্ন দলীয় নেতা তাদের অসংখ্য কর্মী-সমর্থক নিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানিয়েছেন দেশের বিাভন্ন শিল্পী, কবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মুখসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। দল-মত-নির্বিশেষে এক কাতারে সবাই যোগ দিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে সাহসী কন্ঠ প্রদর্শন করছেন।