প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম (ভিজিটর : ১২১)
চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমবে বলে আভাস দিয়েছে এডিবি। সংস্থাটি বলেছে, এ বছর মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ১০ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৬ সালে কমে ৮ শতাংশে নামতে পারে।
সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানায় তারা।
অন্যদিকে এনবিআরকে আগামী জুনের মধ্যে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশের লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপি, যদিও কাগজে কলমে এর পরিমাণ ২০ শতাংশ।
আমদানি ও বিদেশি ঋণের দায় পরিশোধ এবং রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন পায় বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে যার তিন কিস্তিতে পাওয়া গেছে ২৩১ কোটি ডলার। বাকি ২৩৯ কোটি ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি আগামী জুন মাসে পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এজন্য বেশকিছু শর্ত মানতে হবে। এর আগে তিন কিস্তি পর্যন্ত বেশিরভাগ শর্ত পূরণ হলেও বাকি থাকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা।
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন ও লুটপাটের কারণে বাজেটের বড় ঘাটতি পূরণ করা হতো দেশি-বিদেশি বিদেশি ঋণের মাধ্যমে। যেখানে বছর বছর বাজেট ও জিডিপির আকার বাড়লেও এর তুলনায় অনেকটাই কম রয়েছে রাজস্ব আদায়। সবশেষ এ হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে প্রতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় কম হয় লাখ কোটি টাকার বেশি।
তাই এবার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পেতে আগামী জুনের মধ্যে জিডিপির তুলনায় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে।
এদিকে চলতি অর্থবছর শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। আগামী অর্থবছরে যা বেড়ে হতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। আর ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হতে পারে ১০ দশমিক ২ শতাংশ। যা ২০২৬ সালে ৮ শতাংশের ঘরে নামবে বলে আউটলুকে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।
পাল্টা শুল্কারোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা স্বল্প মেয়াদে সমাধান হতে পারে। তবে দেশের রপ্তানিতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের দিকে বাংলাদেশকে এগোতে হবে বলে মনে করে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং।
অপরদিকে ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিপুল অর্থপাচারই এর কারণ।