গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর গোবিন্দবাড়ির দেওয়ানবাড়ি এলাকায় একই পরিবারের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ মার্চ) সকালে স্থানীয় রিপন মিয়ার বাসা থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া তিন মৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর থানার সোলাপতিমা বঙ্খ গ্রামের আবু মিয়ার নাজমুল (২৭), তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তার (১৯) ও শিশু কন্যা নাদিয়া আক্তার (৪)।
খাদিজা আক্তার স্বামী সন্তান নিয়ে বাবা রিপন মিয়ার বাসায় থেকে স্থানীয় সারদাগঞ্জ রিচকটন নামক একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নাজমুল মাদকাসক্ত ছিলো, সে কোন কাজ কর্ম করতো না ঘর-জামাই ছিলেন। মাঝে মধ্যেই এসব বিষয় নিয়ে তাঁদের পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ঘটনার রেশ ধরেই স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করতে পারেন।
পুলিশ বলছেন, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাদিজার বাবা রিপন মিয়া প্রথম ঘরের দরজা আটকানো দেখে ডাকাডাকি করেন। এ সময় কোন সারাশব্দ না পেয়ে পাশের রুমের সিলিং এর ওপর দিয়ে জামাই নাজমুলকে গলায় ফাঁস নেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এসে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গেল শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় তাঁর স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর টয়লেটে ব্যবহারের হারপিক খেয়ে ঘড়ের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাজমুল।
নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তাঁর স্ত্রী খাদিজা ও কন্যা নাদিয়াকে বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাজমুল ওই বাসায় ঘর জামাই থাকতেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে এর আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।