গত ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে একদল কর্মচারী বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে। এই বিক্ষোভের ফলে বিমানবন্দরে যানজট সৃষ্টি হয়, সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হয়, এবং অনেক বিদেশগামী যাত্রী সময়মতো ফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ হন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি, স্বর্ণ চোরাচালান ও মানব পাচার চক্রের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সৈরাচার সরকার পতনের পর এপিবিএন বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিমান বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করেন।
এতে চরম অসন্তুষ্ট হয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, যারা চোরাচালান, ঘুষ, লাগেজ কাটা এবং অবৈধভাবে টার্মিনালে প্রবেশের মতো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তাদের অবৈধ আয়ের পথ সংকুচিত হয়ে যায়।
এদিকে, সাধারণ যাত্রীরা বিমানবন্দরের বর্তমান পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, যাত্রীসেবা বহুলাংশে উন্নত হয়েছে এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যাত্রীসেবা উন্নত করতে কাজ করছে।
তবে, এই সফলতাকে অম্লান করতে কিছু অসাধু কর্মচারী গত ১৭ মার্চ স্বার্থ রক্ষার নামে আন্দোলন করেছে। সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের এখন একটাই প্রশ্ন—আবার কি বিমানবন্দরে লাগেজ কাটা, ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের দিন ফিরে আসবে? নাকি বর্তমান সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাই টিকে থাকবে?