প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:২৪ পিএম (ভিজিটর : ২৮২)

ভৈরবে জুলাই-আগষ্টে পুলিশের গুলিতে আহতদের তালিকায় শাহাদাতের নাম নেই । শাহাদাতের পরিবার আহতদের তালিকায় পুত্রের নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করে ও তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করতে পারেনি । পরিবারের দাবী দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার ডাকে জুলাই গণ অভ্যুঙ্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের জন্য ভৈরবে ছাত্র-জনতা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে । আন্দোলনকে দমাতে তৎকালীন সরকারের পুলিশ ও ছাত্র লীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর ব্যাপক গুলি বর্ষণ করে । গুলিতে কিশোর শাহাদাতের মাথায়,কপালে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলিবিদ্ধ হয় । গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে ছাত্ররা প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তৎকালীন চিকিৎসকরা পুলিশের ভয়ে শাহাদাতের চিকিৎসা করেননি । পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় ইউনাইটেড প্রাঃ হাসপাতাল ও অর্থপেডিক সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে ২২ টি গুলি বের করে । ২২টি গুলি বের করার পর ও তার শরীরে আরো কিছু গুলি থাকায় সেগুলোর যন্ত্রণায় শরীরে ব্যথা অনুভব হয় । তার আরো চিকিৎসার প্রয়োজন । কিন্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শাহাদাতের বাবা একজন বাসের কন্টাকটর হওয়ায় পুত্রের চিকিৎসা করাতে পারছেননা ।
এ বিষয়ে শাহাদাতের বাবা কিরন মিয়া জানান, তার পুত্র আহত হওয়ার পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও ভৈরব সেনা ক্যাম্পের একটি দল তার বাড়িতে এসে তার পুত্র কে দেখে গিয়ে যে কোন ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন । কিন্ত অধ্যাবধি জুলাই-আগষ্টে আহতদের এবং সরকারি তালিকায় ও নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি । শুধু তাই নয় অদ্যাবধি সরকারি কোন সহযোগিতা পাননি । তার পুত্র এখন ব্যথা ও যন্ত্রণা নিয়ে কষ্টে বেচেঁ আছে । তাই সরকারি তালিকায় নাম লিপিবদ্ধসহ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন ।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন জানান, সরকারি ভাবে তালিকা করা হয়ে গেছে । প্রথমে তালিকা থেকে যারা বাদ পড়েছেন । তালিকায় অর্ন্তভ’ক্তি হওয়ার জন্য পরবর্তীতে সময় বাড়ানো হয়েছিলো । এখন যদি কেউ তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকে তাহলেসরকার থেকে পুনরায় তালিকা তৈরীর নির্দেশনা পেলে শাহাদাতসহ অন্য কেউ যদি ও বাদ পড়ে থাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা নতুন তালিকা করবো ।