চমৎকার বোলিংয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে অল্পেই আটকে রাখলেন তাইজুল ইসলাম, আবু হায়দাররা। মাঝারি লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর আর বিপদ ঘটতে দিলেন না তামিম ইকবাল। মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ম্যারাথন জুটিতে নিজে করলেন সেঞ্চুরি, অনায়াস জয় পেল তার দল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পরপর দুই ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের নায়ক তামিম। লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড আগে থেকেই তার। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে সেটি আরেকটু বাড়িয়ে নিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যন। দিনের আরেক ম্যাচে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান নাঈম শেখ। তবে ৮০ ছুঁয়ে আউট হয়ে যান আগের রাউন্ডে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনার। বাকিরাও হতাশ করলে ম্যাচ হেরে যায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
গতকাল বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তামিমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে জেতে মোহামেডান। নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কাছে হেরে যাত্রা শুরুর পর টানা তিন ম্যাচ জিতল তারকাখচিত দলটি।
তাইজুল, আবু হায়দারের দারুণ বোলিংয়ে ব্রাদার্সকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেয় গতবারের রানার্সআপরা। পরে ১০৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় ব্রাদার্স। পরে তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা। তিন নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অভিজ্ঞ ইমতিয়াজ হোসেন। আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
১০ ওভারে মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া ২৪ রান খরচায় আবু হায়দারের শিকার ৩টি। রান তাড়ায় পয়েন্টে বিশাল চৌধুরির দুর্দান্ত ক্যাচে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর আর আনন্দের উপলক্ষ্য পায়নি ব্রাদার্স।
ধীরেসুস্থে শুরুর ধাক্কা সামলে ক্রমেই রানের গতি বাড়ান তামিম ও মাহিদুল। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৯২ বলে ১৮৭ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি।
লিস্ট এ ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরিতে ১০৫ রান করেন তামিম। ৯৬ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন ৩৬ ছুঁইছুঁই ওপেনার। চার ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটি করে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মাহিদুল। ৬ চারের সঙ্গে তার ব্যাট থেকে আসে ৩টি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ১৮৭ (মাহফিজুল ১৮, বিশাল ০, ইমতিয়াজ ৪৩, মাইশুকুর ১৯, জাহিদুজ্জামান ১৬, সোহাগ ৮, রাকিবুল ১৭, সুমন ৪, আসিফ ৭*, আল আমিন ১৩; আবু হায়দার ৬.৪-১-২৪-৩, ইকবাল ৯-০-৩৬-০, নাসুম ১০-২-৩৫-১, তাইজুল ১০-১-৩১-৪, সাইফ ৭-০-২৫-০, মিরাজ ৬-০-৩০-২)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব : ১৯১/১ (তামিম ১০৫*, মিরাজ ২, মাহিদুল ৭৫*; আল আমিন ৪-০-২৩-১, সোহাগ ৮-০-৪১-০, রাকিবুল ৫.৫-০-৪২-০, সুমন ৭-০-৩৩-০, আসিফ ৪-০-৩২-০, বিশাল ২-০-১৫-০, মাইশুকুর ২-০-৫-০)
ফলাফল : মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : তামিম ইকবাল