শুরুর ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়লেন জয়রাজ শেখ ও সাব্বির রহমান। জুটি ভাঙতেই বাঁহাতি স্পিনে একের পর এক ছোবল দিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। অল্পেই গুটিয়ে গেল পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ছোট লক্ষ্যে পারভেজ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনের ঝড়ে দুপুর গড়াতেই জিতে গেল আবাহনী লিমিটেড।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল ৮ উইকেটে জেতে আবাহনী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে পারটেক্সকে মাত্র ১০০ রানে অলআউট করে ১৪.৩ ওভারে জিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পরাজয়ে যাত্রা শুরুর পর টানা তিন ম্যাচ জিতল আবাহনী। চার ম্যাচে পারটেক্সের এটি তৃতীয় হার।
একই মাঠে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতিহাস গড়ে ৪২২ রান করেছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। পরের দুই ম্যাচে চার ইনিংস মিলিয়েও হলো না সাড়ে তিনশ রান। তৃতীয় রাউন্ডে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৬৯ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বাঁহাতি স্পিনে পারটেক্সের ইনিংস বড় হতে দেননি রাব্বি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৯ ওভারে ২ মেডেনসহ ১৮ রানে ৫ উইকেট নেন তরুণ অলরাউন্ডার। লিস্ট এ ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম ৫ উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রবিউল ইসলাম রবির উইকেট হারায় পারটেক্স। সাব্বিরকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন জয়রাজ। রকিবুল হাসানের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ৪৪ বলে ২৩ রান করা সাব্বির।
এরপর রাব্বির ঘূর্ণিতে মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেটের পতনে খেই হারিয়ে ফেলে পারটেক্স। ২১তম ওভারে জয়রাজ ও রুবেলকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার। দলের সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন জয়রাজ। পরে ৩১তম ওভারে রাব্বির শিকার তানভির হোসেন ও মোহর শেখ। শেষ দিকে আদিল বিন সিদ্দিকের ১৩ রানে একশ স্পর্শ করে পারটেক্স। রাব্বির ৫ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন রকিবুল ও মোসাদ্দেক। রান তাড়ায় অল্পে ফেরেন জিসান আলম ও মুমিনুল হক। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি পারভেজ ও মোসাদ্দেক। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে ৮০ রান যোগ করেন দুই ব্যাটসম্যান। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ বলে ৫৬ রান করেন পারভেজ। লিগের চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। অন্য ম্যাচে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করা মোসাদ্দেক খেলেন ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব : ১০০ (জয়রাজ ৩৬, রবি ৩, সাব্বির ২৩, রুবেল ১, আহরার ৫, জাওয়াদ ১, আদিল ১৩*, আলাউদ্দিন ০, তানভির ১, মোহর ০, নাঈম ৪; মেহেদি ৫-০-২১-০, এনামুল ৪-০-১৪-১, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-২০-০, রকিবুল ৭.১-০-১৭-২, রাব্বি ৯-২-১৮-৫, মোসাদ্দেক ৪-২-৭-২)
আবাহনী লিমিটেড : ১০১/২ (১৪.৩ ওভার) (জিসান ৬, পারভেজ ৫৫, মুমিনুল ২, মোসাদ্দেক ৩৭; জাওয়াদ ৫-১-২০-০, তানভির ৬-০-৫১-২, রবি ১-০-১৬-০, রুবেল ২.৩-০-১৪-০)
ফলাফল : আবাহনী লিমিটেড ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : মাহফুজুর রহমান রাব্বি।