বিদায়ী বছরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে বিমানবন্দরটি প্রায়১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রীকে সেবা প্রদান করে এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বিপুলসংখ্যক যাত্রীর চাপ দক্ষতার সঙ্গে সামলানোর মাধ্যমে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে এভসেক সদস্যদের সীমিত সংখ্যক উপস্থিতির কারণে ‘In Aid to Civil Power’ এর আওতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা Quick Response Force (QRF) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করেছে।
বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তায় বিমান বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাদের তৎপরতা ও পেশাদারিত্বের ফলে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যা যাত্রীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সৌদি আরবে বসবাসরত কুমিল্লার ইব্রাহিম খলীল বলেন, "আমি সত্যিই আনন্দিত। এমন উন্নত যাত্রীসেবা আগে কখনো পাইনি। পুরো সিস্টেম বদলে গেছে, বিমানবন্দরের পরিবেশ এখন অনেক বেশি সুশৃঙ্খল। যাত্রীরা চাহিবা মাত্রই চমৎকার সেবা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, "আমি গত ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছি এবং নিয়মিত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করি। এবার প্রথমবারের মতো এত উন্নত ও আন্তরিক সেবা পেয়ে অভিভূত হয়েছি। বিশেষ করে বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিক। আমি একজন সদস্যকে তথ্য জিজ্ঞেস করলে, তিনি শুধু উত্তরই দেননি, বরং আমাকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছেন।"
সৌদি প্রবাসী আরেক যাত্রী আবদুস সামাদ বলেন, "বিমান থেকে নামার পর থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করা পর্যন্ত আমি চমৎকার সেবা পেয়েছি। এ অভিজ্ঞতা সত্যিই গর্ব করার মতো। সবাই অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে যাত্রীদের সহায়তা করছে।"তিনি আরও বলেন, "বিমানবন্দরের সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও বিমান বাহিনীর দায়িত্বশীল উপস্থিতি সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা খুব আন্তরিকভাবে যাত্রীদের সহায়তা করছে, যা আগে কখনো এত স্পষ্টভাবে দেখিনি।"
উল্লেখ্য যে, চোখে পড়ার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জরুরি ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। যেমন- প্রবাসী লাউঞ্জ, ওয়েটিং লাউঞ্জ, হেল্প ডেস্ক, দ্রুত লাগেজ ডেলিভারি, ওয়েব পোর্টাল চালু, প্রশিক্ষণ দেওয়া, পরিষ্কার ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা, গ্রিন চ্যানেল চালু, নতুন টেলিফোন, ইন্টারনেট, নতুন ট্রলি সংযোজন, হটলাইন চালু, ডমেস্টিকে যাত্রীদের আসন সংযোজন, নির্দেশিকা প্রতিক, মশক নিধন পদ্ধতি, আংশিক ই-গেট চালু, পাখি হঠানোর জরিপ, শাটল বাস চালুর মতো যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
