বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এসময় জোটের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করাসহ ৮ দফা দাবিও জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম প্রতিনিধি প্রদীপ কান্তি দে বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি মন্দিরে সন্ধ্যা ৬টায় প্রদীপ প্রজ্বলনের ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় প্রদীপ প্রজ্বলন হবে বাংলাদেশ জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরে।
এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ অন্যান্যদের মুক্তি প্রদান ও সম্প্রতি সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধে জোট কর্তৃক আইনের সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হবে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট উপদেষ্টা প্রফেসর চন্দন সরকারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের অন্যতম প্রতিনিধি রাজেশ নাহা, তন্ময় মৌল্লিক, সৌরভ গাঙ্গলী সকাল, সাজেন কৃষ্ণ বল, সৌরভ সরকার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ৮ দফা দাবিগুলো হলো, ১। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য ‘নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে দ্রুত বিচার’ গঠনপূর্বক দোষীদের দ্রæততম শাস্তি প্রদান ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২।
অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। ৩। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ৪। সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ৫। দেবত্তোর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ’ আইনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৬।
সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। ৭। সংস্কৃত পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করতে হবে। ৮। শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবের প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করতে হবে।