প্রকাশ: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম (ভিজিটর : ৯০)
মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)-এর পরিদর্শক জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সংস্থাটির নজরদারি দফতর বিদেশি সহায়তা স্থগিতকরণ নিয়ে সমালোচনামূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার একদিন পরেই তাকে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউএসএআইডি-এর পরিদর্শক জেনারেল পল মার্টিনকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরখাস্ত করা হয়। তবে তার অপসারণের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
সোমবার প্রকাশিত ৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মার্টিনের অফিস উল্লেখ করেছে যে, সাম্প্রতিক পররাষ্ট্র দপ্তরের বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিতকরণ এবং ইউএসএআইডি-এর কর্মীসংখ্যা হ্রাস সংস্থাটির অনুমোদিত ৮.২ বিলিয়ন ডলার বিতরণ না করায় মানবিক সহায়তা নিরাপদে বিতরণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউএসএআইডি-এর বিদ্যমান নজরদারি ব্যবস্থা যদিও পূর্বে চিহ্নিত কিছু ত্রুটি ছিল সাম্প্রতিক নির্দেশনা ও কর্মী সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। আইন অনুযায়ী, প্রশাসনকে কংগ্রেসকে ৩০ দিনের নোটিশ দিতে হয় এবং পরিদর্শক জেনারেলকে অপসারণের কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়।
পরিদর্শক জেনারেলদের কাজ হলো সংশ্লিষ্ট সংস্থার অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও সরকারি তহবিলের অপচয় তদন্ত করা, নিরীক্ষা পরিচালনা করা এবং তাদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রকাশ করা। তারা একাধিক প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
দুই সপ্তাহ আগে, ট্রাম্প প্রশাসন অন্তত ১৭ জন পরিদর্শক জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে। যার মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর, জ্বালানি দপ্তর, প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স ভিএ) বিভাগের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইউএসএআইডি-এর বেশিরভাগ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং সংস্থাটির ওয়াশিংটন সদর দপ্তর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য ঠিকাদারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
ইউএসএআইডি-এর নজরদারি অফিস সোমবারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, সম্প্রতি সংস্থাজুড়ে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই চলছে বিশেষ করে বুরো ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স (বিএইচএ)-এর ভেতরে। পাশাপাশি বিদেশি সহায়তা ছাড় এবং বাস্তবায়নকারীদের সঙ্গে অনুমোদিত যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা ইউএসএআইডি-এর পক্ষে করদাতাদের অর্থায়নে পরিচালিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিরাপদে বিতরণ করা ও সংরক্ষণ করা কঠিন করে তুলেছে।