ই-পেপার বাংলা কনভার্টার বুধবার ● ১৯ মার্চ ২০২৫ ৫ চৈত্র ১৪৩১
ই-পেপার বুধবার ● ১৯ মার্চ ২০২৫
Select Year: 
ব্রেকিং নিউজ:




আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতে একাট্টা গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তি
সুজন দে
প্রকাশ: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:১৯ এএম  (ভিজিটর : ১৯৬)
.
জুলাই-আগষ্টের হত্যাাকান্ডের দায়ে  রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনার দাবি তুলেছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়য়তাবাদী দল বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা  ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে এ দাবি জানান। এছাড়া আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে  সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ।  এর আগে জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গত ছয় মাস ধরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবিতে তারা  সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে একাধিক বার। এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটিও প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলছে। 
অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস সহ জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল  রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক  ও পেশাজীবী সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী, এমপিদের পাশাপাশি দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচার দাবিতে একাট্টা হয়েছে। 
সরকারের প্রভাবশালী তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নামে   দেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়াও চলছে বলে মন্তব্য করেন তারা।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও  জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও  প্রায়  প্রতিদিন  শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের  নেতা, মন্ত্রী ও এমপিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।  একই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলছে জোরালো ভাবে। 
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি না জানালেও শেখ হাসিনা সহ হত্যাকান্ডের  অপরাধে অভিযুক্ত সকল নেতা, এমপি, মন্ত্রীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়েছে জোরালো ভাবে। তবে নতুন করে দলটির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনার  জন্য  সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।  সোমবার  যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিএনপির বৈঠকে  লিখিত ভাবে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল  ইসলাম আলমগীর। লিখিত চিঠিতে মির্জা ফখরুল বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে, এবং প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের সহায়তায় দেশের বাইরে থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এই তৎপরতা চালিয়েই যাবে। সুতরাং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা দরকার। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদেরকে আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির পাশাপাশি দেশের অন্যতম প্রধান আরেক রাজনৈতিক দল জামায়াতও  শেখ হাসিনা ও সহ দলটির নেতা, মন্ত্রী ও এমপিদের বিচার নিশ্চত করার পাশাপাশি দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সকল রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিচারের নিশ্চিতে একাট্টা। সম্প্রতি ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকেও এই ইস্যুতে রাজধানী বড় ধরণের গণমিছিল করা হয়েছে।  
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান সংগঠনঠির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।  তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী  লীগকে নিষিদ্ধ করা ও বিচারের ব্যাপারে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।  রাশেদ বলেন, গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গণহত্যায় অভিযুক্ত সংগঠন হিসেবে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলায় ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এছাড়া জনগণকে গণহত্যার বিচারে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী আগামী ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হবে। এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।শিগগিরই কেন্দ্রীয়ভাবেও সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। 





আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : কে.এম. বেলায়েত হোসেন
৪-ডি, মেহেরবা প্লাজা, ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত এবং মনিরামপুর প্রিন্টিং প্রেস ৭৬/এ নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বার্তা বিভাগ : ৯৫৬৩৭৮৮, পিএবিএক্স-৯৫৫৩৬৮০, ৭১১৫৬৫৭, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ঃ ৯৫৬৩১৫৭, ০১৭১২-৮৮৪৭৬৫
ই-মেইল : [email protected], [email protected]