ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী সন্ত্রাসী রুহুল আমিন কর্তৃক একই ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী ফারুক মাষ্টার জানান, আমার জামাতা শিমুল মাষ্টার ও লোকমান মাষ্টার পৌর বিএনপির রাজনীতি করেন।
শিমুল মাষ্টার পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও স্কুল মাষ্টার, লোকমান মাষ্টার ও একটা স্কুলে শিক্ষকতা করেন। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসী রুহুল আমিন হাজী গত ১৩ই জানুয়ারি সাংবাদিক ভাইদের দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে "চরফ্যাসনে কোটি টাকার জমি জবর দখলের চেষ্টা" শিরোনামে কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও জানান, রুহুল আমিন একজন ভন্ড, প্রতারক, মিথ্যুক ও মামলাবাজ বটে। ওই দিন বসতঘর ভাংচুর ও দখলের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। স্থানীয়দের স্বাক্ষী ও তদন্তে এর সত্যতা মিলবে। ১/১২/১৯৮৮ইং তারিখে ফারুক মাষ্টার গং তরনী, অনিল ও জগদীশ দাসের নিকট হতে ২৪৬.১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং দাতাগন ভোগ দখল বুঝিয়ে দেন। আমরা ১৩৪০, ৩৬০৬, ৩১২৬ ও ৩২০২ নল খতিয়ান মূলে এবং ২৩১৩, ২৩১৪, ২২৩৫ নং নামজারি মূলে ভোগ দখল করে আসছি।
দাতাগন ১০ বছর আমাদের সাথে বসবাস করে তাদের শেষ সম্বল বসতভিটা, পুকুর ও চিতা ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমরা ক্রয় করতে পারি নাই। ফলে দাতাগন বসতভিটা, পুকুর ও চিতা অভিযোগকারী রুহুল আমিন হাজীর নিকট বিক্রি করে ইন্ডিয়ায় চলে যায়।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারীর মেঝো মেয়ে স্বপ্না বেগম ৯ই মার্চ ২০০৫ইং তারিখে চরফ্যাসন প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে জনৈক ইদ্রিসের সাথে তার মায়ের পরকিয়া প্রেমের অভিযোগ করেন। ওই সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার বাবা রুহুল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় বিএনপির কাউন্সিলর দুলালকে জড়িয়ে মামলা ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করলে দুলাল সেনাক্যাম্পেই মৃত্যুবরন করেন।
ওই ঘটনার মাধ্যমে অভিযুক্ত রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের আস্থালাভ করেন। তাদের খুশি করার জন্য এজমালী পুকুর থেকে জোর করে মাছ ধরে তাদের বাসায় পৌঁছে দিতেন। পরবর্তীতে তিনি হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং তার স্ত্রী পৌর ৬নং ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন।