প্রকাশ: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম (ভিজিটর : ৪৮)
কুয়াকাটায় বাংলাভিশন টেলিভিশনের প্রতিনিধি ও পৌর যুবদল সাধারন সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মিরনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টায় কুয়াকাটার তুলাতলী ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এরপর স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার গুরুতর অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। বুধবার সকালে তার অবস্থার আশংকা জনক হলে শেবাচিম থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে সাংবাদিক মিরনের উপর ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, মহিপুর প্রেসক্লাব, কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি, রিপোর্টার্স ক্লাব ও কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
আহত মিরনের সাথে থাকা, কুয়াকাটা পৌর যুবদল সভাপতি কাজী মো: ফারুক মীর জানান, সকালে তাকে ঢাকা এভার-কেয়ার হসপিটালে ভর্তি করেছি। তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । সন্ত্রাসীদের মিরন চিনতে পেরেছেন। আমরা এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্হা গ্রহণ করব।
মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন ঢাকা থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় গাড়ি থেকে নামলে তাকে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ইতিমধ্যে ফিলিং স্টেশন এবং আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে।
কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, 'মিরনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তার দুই হাত, মাথায এবং গ্রীবার নীচের অংশে জখম রয়েছে। এছাড়া বুকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটায় একেরপর এক সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে দক্ষিণ উপকূলের সাংবাদিকতা। কুয়াকাটায় কর্মরত দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক কেএম বাচ্চু, আমাদের সময়ের মাসুদ পারভেজ সাগর ও আনোয়ার হোসেন আন, যুগান্তরের নাসির উদ্দিন বিপ্লবের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এবার বাংলাভিশনের সাংবাদিককে উপর্যুপুরি কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এতে উপকূলের সাংবাদিকতা সহ সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। সাংবাদিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।